খাদিমনগর উদ্যান ভ্রমণ-
খাদিমনগর জাতীয় উদ্যান (Khadimnagar National Park) এর রাস্তার দুইপাশে ঘন সবুজ বন। বনের ভেতর থেকে ভেসে আসছে ঝিঁ ঝিঁ পোকার ডাক। মাঝে মধ্যে এর সাথে তাল মেলাচ্ছে সুরেলা পাখির কন্ঠ। আশপাশে জনমানবের অস্তিত্ব খুব একটা চোখে পড়ে না। দুইপাশের টিলার গাছপালার ডাল নুয়ে পড়েছে রাস্তার উপর। দূর থেকে মনে হতে পারে এটা পায়ে চলার কোন রাস্তা নয়, সবুজের গহ্বরে হারিয়ে যাওয়ার মায়াময় সুড়ঙ্গপথ। সবুজের ছাউনির এই রাস্তা বয়ে গেছে সিলেটের খাদিমনগর জাতীয় উদ্যানের বুক চিরে। খাদিমনগর জাতীয় উদ্যান, বাংলাদেশের সিলেট জেলায় অবস্থিত একটি জাতীয় উদ্যান। ২০০৬ সালের ১৩ এপ্রিল এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এর আয়তন ৬৭৯ হেক্টর বা ১৬৭৭.১৩ একর। পাহাড় ও প্রাকৃতিক বনের সমন্বয়ে গড়ে উঠা এই রেইনফরেস্টটি জাতীয় উদ্যান বলে সরকারী স্বীকৃতি পেয়েছে এবং ইউএসএইড এর সহায়তায় এর ব্যবস্থাপনা পরিচালিত হচ্ছে। এ উদ্যানটি একটি ট্রোর্পিকেল রেইন ফরেস্ট বা মিশ্র চিরসবুজ ও উষ্ণ মণ্ডলীয় বন।
এই উদ্যানে পাখির মধ্যে রয়েছে দোয়েল, ময়না, শ্যামা, কাক, কোকিল, টিয়া, কাঠ ঠোকরা, মাছরাঙ্গা, চিল, ঘুঘু, বক, টুনটুনি, চড়ুই, বুলবুলি, বনমোরগ, মথুরা, শালিক। স্তন্যপায়ীর মধ্যে রয়েছে বানর, হনুমান, শিয়াল, বনবিড়াল, বেজি, কাঠবিড়াল, ইঁদুর, খরগোশ, মেছো বাঘ। সাপের মধ্যে আছে অজগর, দারাইশ, উলুপুড়া, চন্দ বুড়াসহ নানা বিষধর সাপ।
কি দেখবেন
খাদিম নগর জাতীয় উদ্যানের সৌর্ন্দয্য উপভোগ করতে হলে আপনাকে শুধু এই পথ ধরে হাঁটলেই চলবে না। আপনাকে হতে হবে আরেকটু সাহসী, পরিশ্রমী। সবুজের মাঝে হারিয়ে যেতে হলে আপনাকে ঢুকতে হবে উদ্যানের ভেতরে। এজন্য আপনাকে ব্যবহার করতে হবে উদ্যানের নির্ধারিত ওয়াকিং ট্রেইল। পায়ে হেঁটে টিলার উপরে ওঠা ও এখানকার জীববৈচিত্র্য দেখার জন্য রয়েছে দুইটি ওয়াকিং ট্রেইল। একটি ৪৫ মিনিটের, অপরটি ২ ঘন্টার। ওয়াকিং ট্রেইল দিয়ে হাঁটা শুরু করতে গিয়ে আপনার গা শিহরে ওঠতেই পারে। ঘন সবুজ বনের ভেতর মাত্র এক-দেড় হাত প্রশস্ত আঁকা-বাঁকা রাস্তা। তাও আবার খুব একটা মসৃণ নয়। রাস্তার মাঝে মধ্যে চোখে পড়বে স্বচ্ছ পানির ছড়া। কোথাও কোথাও এই ছড়া দিয়ে হেঁটে যেতে হবে সামনের দিকে। টিলার উপর উঠতে উঠতে আপনি যখন পরিশ্রান্ত, তখন এই ছড়ার শীতল পানিতে পা ভিজিয়ে আপনি সঞ্চয় করে নিতে পারেন নতুন শক্তি। ছড়ার পানির শীতলতা আপনাকে চাঙা করে তুলবে সামনের পথ পাড়ি দিতে। খাদিম নগর উদ্যানের ভেতর হাটার সময় হঠাৎ যদি সামনে পড়ে যায় কোন বন্য প্রানী তবে তাদেরকে উত্যক্ত করবেন না। এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে বন্যপ্রাণীগুলো তাদের মতো চলাফেরা করার সুযোগ পাবে। দূর থেকে আপনিও উপভোগ করতে পারবেন তাদের জীবনধারা। উদ্যানের ভেতর হাঁটতে হাঁটতে পেছনের গাছ থেকে যদি কেউ ঢিল ছুঁড়ে বা হঠাৎ যদি গাছের মাথা নড়ে চড়ে ওঠে ভয় পাবেন না। বুঝে নেবেন এটা বানরের কাজ। আপনার সাহসিকতার পরিচয় নিতে এটা তাদের একটি পরীক্ষামাত্র। উদ্যানের ভেতর সবুজের মাঝে হারিয়ে যেতে হলে আপনি সাহায্য নিতে পারেন স্থানীয় গাইডদের। উদ্যানের ওয়াকিং ট্রেইলের আশপাশে খোঁজ করলেই আপনি পেয়ে যাবেন স্থানীয় আদিবাসী (চা শ্রমিক) গাইডদের। এরা আপনাকে বনের ভেতরের বিভিন্ন গাছপালা ও পশু পাখির সাথে পরিচয় করিয়ে দেবে। ওয়াকিং ট্রেইল থেকে বিচ্যুত হয়ে আপনি যাতে বনের ভেতর সত্যিকারের হারিয়ে না যান সেজন্য তারা আপনাকে সঠিক পথেই নিয়ে যাবে। গাইডদের নির্ধারিত কোন ফি নেই। তবে বনের ভেতর যাত্রা শুরুর আগেই আপনি গাইডের সাথে তার সম্মানির বিষয়টি আলাপ করে নিন। মনে রাখবেন ক্ষণিকের পরিচিত এই গাইডের সাথে আপনি সম্পর্ক জমিয়ে তুলতে পারলে আপনার অ্যাডভেঞ্চার অনেক বেশি আনন্দদায়ক হবে। উদ্যানের ভেতর বেড়ানোর সময় শিশুদেরকে সাথে না নেওয়াই ভালো। টিলার উপর ওয়াকিং ট্রেইল দিয়ে হাঁটা তাদের জন্য কষ্টসাধ্য হয়ে পড়তে পারে। বনের ভেতর প্রবেশের আগে সারা শরীরে একটু ভালো করে লোশন মেখে নিন। লোশন আপনাকে পিঁপড়া বা পোকার কামড় থেকে রক্ষা করবে। চোখের রক্ষায় ব্যবহার করতে পারেন সানগ্লাস। সাথে খাবার পানি নিতে ভুলবেন না। বনের ভেতর খালি পানির বোতল বা কোন রকম ময়লা না ফেলাই উত্তম। বনের ভেতর মোবাইল ফোনে উচ্চস্বরে গান না বাজানো ভালো। এতে বন্যপ্রাণীরা ভয় পেতে পারে। হাঁটতে হাঁটতে আদিবাসী গ্রামে পৌঁছলে তাদের সাথে ভাল ব্যবহার করুন। আপনার দিকেও তারা বাড়িয়ে দেবে সহযোগিতার হাত।
উদ্যানের ভেতর আপনি দেখা পেতে পারেন ভাল্লুক, বানর, হনুমান, মুখপোড়া হনুমান, শিয়াল, বনবিড়াল, বেজি, কাঠবিড়ালি, খরগোশ, মেছোবাঘ, লজ্জাবতি বানর, অজগর, গোখরা, দাড়াইশ, উলুবুড়া, চন্দ্রবুড়াসহ নানা জাতের বন্য প্রাণী। পাখিদের মধ্যে দেখা মিলতে পারে দোয়েল, ময়না, শ্যামা, কাক, কোকিল, টিয়া, কাঠঠোকরা, মাছরাঙা, চিল, ঘুঘু, বক, টুনটুনি, চড়–ই, বুলবুলি, বনমোরগ, মথুরা, শালিক ইত্যাদি। খাদিমনগর উদ্যানে ঝোঁপ-ঝাড়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে মূল্যবান বৃক্ষরাজি। এর মধ্যে রয়েছে সেগুন, ঢাকি জাম, গর্জন, চাম্পা, চিকরাশি, চাপালিশ, মেহগনি, শিমুল, চন্দন, জারুল, আম, জামা, কাউ, লটকন, বন বরই, জাওয়া, কাইমূলা, পিতরাজ, বট, আমলকি, হরতকি, বহেড়া, মান্দা, পারুয়া, মিনজিরি, অর্জুন, একাশিয়া, বিভিন্ন জাতের বাঁশ, বেত ইত্যাদি। খাদিমনগর জাতীয় উদ্যানে গেলে আপনি যে শুধু সবুজের ভেতর বন্য প্রাণীদের ক্রীড়াশৈলী দেখবেন তা নয়। উদ্যানে পৌঁছার আগেই আপনার চোখ জুড়িয়ে যাবে টিলার ভাঁজে ভাঁজে সাজানো চা বাগান দেখে। কোমরে শিশু সন্তানকে আর পিঠে ঝুড়ি বেঁধে নারী শ্রমিকদের চা পাতা তোলার দৃশ্য আপনাকে মোহিত করবে। উদ্যানের চারপাশে রয়েছে ৬টি চা বাগান। পূর্বে ছড়াগাঙ ও হাবিবনগর চা বাগান, পশ্চিমে বুরজান, কালাগুল চা বাগান, উত্তরে গুলনী চা বাগান আর দক্ষিণে খাদিম চা বাগান।
গহীন জঙ্গল ও পাহাড় ভেদ করে নেমে আসা ঝর্নাধারার উপর শেষ বিকেলের রোদের ঝিলিক যেন এক মায়াবী পরিবেশ। অবশ্য গহীন বনের ভিতর আঁকা বাঁকা পথ কেবল সামনের দিকে টানলেও বন বনানীর ভিতরের সরীসৃপ ও বন্য প্রাণীর অবস্থান যেকোন আগন্তুকের মনের কোণে ভয় পাইয়ে দেবে। হঠাৎ যদি সামনে পড়ে যায় চন্দ গোরা বা অলগোরা অজগর সাপ কিংবা বিষাক্ত গোখরা তখন ঘাম ঝেড়ে শীতল হয়ে যাবে শরীর। হনুমানের বিচরণ এবং বানরের দৌড়ঝাঁপ বা ফাজলামি বেশ মজা পাইয়ে দিবে। বনকর্মীসহ সংশিস্নষ্টরা এ এলাকায় দিনে রাতে অনেকটা নির্বিঘ্নেই চলাচল করে থাকেন অভ্যাসের কারণে। এই পরিবেশের সাথে তারা সহঅবস্থানে আছেন।
বর্ষাকালে হাইকিং ট্রেইলে লাল কাঁকড়ার দেখা মিলে।বনের গহীন অরণ্যের মধ্যে হাঁটতে হাঁটতে সেগুন গাছের ডালে মুখপোড়া হনুমানের দেখা মিলবে। পাহাড়ের উপরে ওঠা সহজ, কিন্তু নিচে নামা কঠিন তাই সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। পাহাড়ের উপর হতে মনোরম প্রকৃতির ভরপুর অপূর্ব সৌন্দর্য যেন মনে হয় নীল আকাশ আর সবুজ অরণ্যের সমাহার।
সারাদিন হাইকিং করে কষ্ট হলেও প্রকৃতির অভাবনীয় রূপবৈচিত্র্যের আবরণে কিছুক্ষণের জন্য হারিয়ে যাবেন। খাদিমনগর জাতীয় উদ্যান ঘুরে আপনার মনে হবে অপনি সবুজ স্বর্গের ভ্রমণ করেছেন।
খাদিমনগর জাতীয় উদ্যানের প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ইকোট্যুর গাইড আছে, যে কারণে সহজেই পথ ভুলে যাওয়ার কোন কারণ নেই। হাইকিংয়ের সময় নজরে পড়বে পাহাড়ি ছড়া। ছড়াগুলোর পরিষ্কার ও স্বচ্ছ পানি মনকে আনন্দে ভরে তুলবে। ছড়াগুলোর মাঝে মাঝে প্রাচীন ফসিল বা হাজারো বছর আগের গাছের টুকরা পাথরের খণ্ড হয়ে পড়ে আছে, যা এক অবাক বিস্ময়।
প্রাণী বৈচিত্র্য
খাদিমনগর জাতীয় উদ্যানে প্রায় ২১৭ প্রজাতির গাছ এবং ৮৩ প্রজাতির প্রাণী রয়েছে।
উদ্ভিদ
খাদিমনগর জাতীয় উদ্যানে আছে প্রচুর সেগুন গাছ। এছাড়াও দেখা যায় ঢাকি জাম, গর্জন, চম্পা ফুল, চিকরাশি, চাপালিশ, মেহগনি, শিমুল, চন্দন, জারুল, আম, জাম, কাউ, লটকন, বন বড়ই, জাওয়া, কাইমূলা, গুল্লি, পিতরাজ, বট, আমলকি, হরিতকি, বহেড়া, মান্দা, পারুয়া, মিনজিরি, অর্জুন, একাশিয়া প্রভৃতি। বাঁশের প্রজাতিগুলো হচ্ছে জাইবাশ, বেতুয়া বাঁশ, পেঁচা বাঁশ, পারুয়া বাঁশ এবং বেতের প্রজাতিগুলো হচ্ছে তাল্লাবেত, জালিবেত। এখানে রয়েছে ৪০-৫৫ ফুট উঁচু ও ৫-৭ ফুট ব্যাসের মূল্যবান সেগুন গাছ।
প্রাণী
এই উদ্যানে পাখির মধ্যে রয়েছে দোয়েল, ময়না, শ্যামা, কাক, কোকিল, টিয়া, কাঠ ঠোকরা, মাছরাঙ্গা, চিল, ঘুঘু, বক, টুনটুনি, চড়ুই, বুলবুলি, বনমোরগ, মথুরা, শালিক। স্তন্যপায়ীর মধ্যে রয়েছে বানর, হনুমান, শিয়াল, বনবিড়াল, বেজি, কাঠবিড়াল, ইঁদুর, খরগোশ, মেছো বাঘ। সাপের মধ্যে আছে অজগর, দারাইশ, উলুপুড়া, চন্দ বুড়াসহ নানা বিষধর সাপ।
শকুনের নিরাপদ এলাকা
শকুনের নিরাপদ এলাকা-১ তফসিল অনুসারে খাদিমনগর জাতীয় উদ্যান শকুনের জন্য নিরাপদ বলে ঘোষিত।
“দেখা হয়নি চক্ষু মেলিয়া ঘর হতে শুধু দু’পা ফেলিয়া, একটি ধানের শীষের উপর একটি শিশির বিন্দু”-কবিতার এই পংতিগুলো মনে করিয়ে দেবে খাদিম জাতীয় উদ্যান দেখতে গেলে। খোদ সিলেট শহরের অনেকেই জানেন না জীববৈচিত্র্যের আধার খাদিম ফরেস্টের কথা। শহরের পূর্বদিকে জাফলং যাওয়ার পথে ১৫ কিঃমিঃ দূরে ৬৭৮ হেক্টরের বিশাল বনভূমিকে ২০০৬ সালে খাদিম নগর জাতীয় উদ্যান হিসেবে সরকারীভাবে ঘোষিত হয়েছে। সিলেটের বনবিভাগ এটির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে।
পর্যটন সুবিধাঃ
১. ট্রেইল এ্যাকটিভিটি
- খাদিমনগর ন্যাশনাল পার্ক (Khadimnagar National Park) এ হাঁটার জন্য ৪৫ মিনিট ও দুই ঘন্টার দুটো ট্রেইল আছে। বনবিভাগের বিট অফিসের সামনে ট্রেইল দুটোর মানচিত্র দেয়া আছে, এ ছাড়া স্থানীয় কাউকে গাইড হিসাবে ও সাথে নেয়া যেতে পারে। যদি ঘন জঙ্গলে ট্রেকিং করতে চান তাহলে সাথে গাইড নেয়া ভালো কারন পথ হারাবার সম্ভাবনা আছে। এক ঘন্টার গাইড খরচ ১৫০ টাকা। খাদিম নগর জাতীয় উদ্যানের সৌন্দর্য উপভোগ করতে আপনাকে সাহসী আর পরিশ্রমী হতে হবে। তাহলে আপনি দেখা পেতে পারেন মুখপোড়া বানর, হনুমান, কাঠবিড়ালিসহ অনেক কিছুর। ঘন জঙ্গলে বাহারি গাছপালা ও পশুপাখিদের কলরবে ট্রেকিং করতে ভালই লাগে।
- ঘন্টার ট্রেইলে হাটতে হাটতে হাটতে আপনি বোমা ঘর দেখতে পারবেন, যেটাতে দ্বিতীয বিশ্বযুদ্ধের সময় বোমা রাখা হত বলে কথিত আছে।
২. জিপ লাইন
বিট কর্মকর্তার অফিসের সামনেই আছে জিপ লাইন। আরোহন ফি ১০০ টাকা। জিপ লাইনে ওঠার আগে আপনাকে নিরাপত্তা অবলম্বন করতে হবে।
৩. ট্রি এ্যাকটিভিটিজ
ট্রি একটিভিটি করতে হলে কেডস টাইপ জুতা পরা ভালো। এখানে ফ্যামিলি নিয়ে আসতে পারনে। প্রত্যেকদিন অনেকেই পরিবার নিয়ে আসে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরা আসেন। একদম নিরাপদ জায়গা আর স্থানীয় মানুষরা ও খুব আন্তরিক। তবে হ্যা, হার্ট দুর্ভল বা হার্টের রুগি এমন কেউ ট্রি এক্টিভিটি করতে যাবেন না কারন এটি করতে আপনাকে যথেষ্ট সাহসী হতে হবে । সেইফটি হিসেবে বেল্ট, হেলমেট এবং ক্লিপ দ্বারা লাইনের সাথে যুক্ত থাকে শরীর।
ট্রি এক্টিভিটি ১০০ টাকা।
৪. বাই সাইকেল রাইড
বাই সাইকেল নিয়েও বন ঘোরা যাবে, সেই ব্যবস্থাও এখানে আছে।
৫. তাবুতে রাত্রি যাপন
যদি কেও রাত্রি যাপন করতে চান তাহলে তাবু ভাড়া করতে পারেন। বিট অফিসারের ভাষ্যমতো, তাদের কাছে মোট ২৮ জনের তাবু করে রাত্রিযাপনের ব্যবস্থা রয়েছে। তবে সেক্ষেত্রে আগে থেকে যোগাযোগ করতে হবে তাদের সাথে।
রেইনফরেস্টের সামনে দিয়ে উত্তর দিকে যে রাস্তা চলে গেছে, সে দিক দিয়ে এগিয়ে গেলে এয়ারপোর্ট-হরিপুর সড়কে উঠা যায়, সেখান থেকে আবার রাতারগুল সোয়াম্পফরেস্টে ও সহজেই যাওয়া সম্ভব। কোন পর্যটক যদি একদিনের জন্য সিলেট ঘুরতে চান সে ক্ষেত্রে এই পথটি ব্যবহার করে চা বাগান, রেইনফরেস্ট, সোয়ামফরেস্ট দেখে যেতে পারেন।
যেভাবে যাবেন
সিলেটে পৌঁছে আপনি খাদিম নগর উদ্যানে যাওয়ার জন্য মাইক্রোবাস বা সিএনজি অটোরিকশা ভাড়া নিতে পারেন। সিলেট নগরী থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার পূর্বে খাদিম চৌমুহনী যাওয়ার পর ডানদিকের ছোট পাকা রাস্তা ধরে আপনাকে সামনে এগুতে হবে। পিচ, ইট বিছানো ও কাঁচা রাস্তা মিলিয়ে আপনাকে আরো ৩ কিলোমিটার ভেতরে যেতে হবে উদ্যানে পৌঁছতে হলে।
কোথায় থাকবেন
খাদিমনগর থাকার কোন জায়গা নেই। তবে আশে পাশে নাজিমগড়, শুকতারার মত অনেক রিসোর্ট রয়েছে। এখানে থাকতে পারেন। কিংবা ভ্রমন শেষে সিলেট শহরে ফিরে এসে শহরেরই থাকতে পারেন।
বি: দ্র : ঘুরতে গিয়ে দয়া করে পরিবেশ নষ্ট করবেন না,চিপস এর প্যাকেট, পানির বোতল এবং অপচনশীল দ্রব্য নির্ধারিত স্হানে ফেলুন।। এই পৃথিবী, এই দেশ আমার, আপনার সুতরাং নিজের দেশ এবং পৃথিবীকে সুন্দর রাখা এবং রক্ষনাবেক্ষনের দায়িত্বও আমার এবং আপনার।। হ্যাপি_ট্রাভেলিং
ভ্রমণ বিষয়ক তথ্য পেতে জয়েন করুন আমাদের ফেইসবুক গ্রুপ এবং ফলো করুন আমাদের পেইজ
Comment (0)