শতবর্ষী পুরোনো বটবৃক্ষ-

কালের বিবর্তণে শতবর্ষী পুরোনো বটবৃক্ষ কে ঘিরে তৈরি হয়েছে নানা কল্প-কাহিনী। কখনো তা আনন্দের আর কখনো ভয়ের, আবার কখনো তা ঘুমপাড়ানি পিসি-মাসি, কখনো তা রোগমুক্তি জায়গা হিসেবে। আর এ সবকিছুই ছিল কল্পনা নির্ভর কোনো কাহিনী। কল্প-কাহিনী যা-ই হোক শতবর্ষী এই বটবৃক্ষকে ঘিরে সময়ের ব্যবধানে গড়ে উঠতে শুরু করেছে এক সম্ভাবনাময় পর্যটন কেন্দ্র।

মাটিরাঙা উপজেলা সদর থেকে ৭ কি.মি. উত্তরে অবস্থান শতবর্ষী বটগাছের। এই একটি শতবর্ষী বটগাছকে ঘিরেই জায়গাটির নামকরণ করা হয়েছে ‘বটতলী’। পাহাড়, উপত্যকা, ঝর্না, সুড়ঙ্গের রাণীখ্যাত পার্বত্য খাগড়াছড়ির আরেক সম্ভাবনাময় পর্যটন কেন্দ্র ‘শতবর্ষী বটগাছ’। ছোট্ট একটি গ্রামকে আলোকিত করেছে এ ‘শতবর্ষী বটগাছ’।

পুরো এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে আছে বিধাতার সৃষ্টি এ বটবৃক্ষের ছায়া। অসংখ্যা শেকড় ছড়িয়ে পড়েছে বিশাল অংশ জুড়ে। বটগাছের উপরে তাকাতে চোখ আটকে যায় ছড়িয়ে থাকা অসংখ্য শাখা-প্রশাখার বিস্তার দেখে। প্রায় এক একর জায়গার এই শতবর্ষী বটবৃক্ষের ব্যাপ্তি দেখে বিস্মিত হবে যে কেউ। বটবৃক্ষের উপর দিয়ে সূর্যের আলো ঢুকছে। আর মাতৃবৃক্ষের শাখা-প্রশাখার ফাঁক গলে সেই আলো ছড়িয়ে পড়ছে চারপাশে। বটবৃক্ষের নিচে দাঁড়ালেই মনে হবে প্রকৃতির এ বিস্ময় কোনো এক পাহাড়ী জনপদে প্রতিনিধিত্ব করছে শত শত বছরের।

যেভাবে যাবেন

রাজধানী শহর ঢাকা থেকে সরাসরি বাস সার্ভিস রয়েছে খাগড়াছড়িতে। ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে যেকোনো বাসে সরাসরি মাটিরাঙা নামতে হবে। বাস থেকে নেমে মাটিরাঙা বাজার থেকে সিএনজি বা মোটরসাইকেল চড়ে যেতে হবে শতবর্ষী বটমূলে। অবশ্য ব্যক্তিগত গাড়িতে (প্রাইভেট কার বা মাইক্রো) করেও যেতে পারবেন সেখানে। এছাড়াও খাগড়াছড়ি শহর থেকে সরাসরি চাঁন্দের গাড়ি, সিএনজিতেও যাওয়া যায়।

খাবার ব্যবস্থ্যাঃ

তবে শতবর্ষী বটবৃক্ষ দেখতে আসার আগে অবশ্যই প্রয়োজনীয় খাবার সঙ্গে নিয়ে আসবেন। শতবর্ষী বটবৃক্ষ ভ্রমণে যে কোনো তথ্য এবং সহযোগিতার জন্য যোগাযোগ করতে পারেন স্থানীয় কাউন্সিলর মো. এমরান হোসেনের সঙ্গে ০১৭৯৩ ১৮৬৭০৭ এই নম্বরে।

কোথায় থাকবেন

খাগড়াছড়িতে বেশকিছু আবাসিক হোটেল রয়েছে, হোটেল শৌল্য সুবর্ন, জিরান হোটেল, হোটেল লিবয়ত,চৌধুরী বাডিং,থ্রী স্টার,ফোর স্টার, উপহার,নিলয় হোটেল ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।।

বি: দ্র : ঘুরতে গিয়ে দয়া করে পরিবেশ নষ্ট করবেন না,চিপস এর প্যাকেট, পানির বোতল এবং অপচনশীল দ্রব্য নির্ধারিত স্হানে ফেলুন।। এই পৃথিবী, এই দেশ আমার, আপনার সুতরাং নিজের দেশ এবং পৃথিবীকে সুন্দর রাখা এবং রক্ষনাবেক্ষনের দায়িত্বও আমার এবং আপনার।। হ্যাপি_ট্রাভেলিং

ভ্রমণ বিষয়ক তথ্য পেতে জয়েন করুন আমাদের ফেইসবুক গ্রুপ এবং ফলো করুন আমাদের পেইজ