নেপাল ভ্রমণ (Nepal)

ভিসা-নেপালে অন এরাইভাল ভিসা, কিন্তু যেহেতু ভারতের ভেতর দিয়ে যেতে হবে তাই ট্রানসিট ভিসা নিতে হবে ভারতের। আর ভারতের ট্রানসিট ভিসার জন্য নেপালের ভিসা থাকা লাগবে, তাই বাইরোডে নেপাল ভ্রমণ গেলে নেপাল এমব্যাসি থেকে ভিসা নিতে হবে, ভিসা ফি ফ্রি নেপালের প্রথম বার। ভারতিয় ট্রান্সিট ভিসার জন্য টিকেট, ব্যান্ক সলভেন্সি বা ১৫০ ডলার এনডোর্স, নেপাল থাকার ঠিকানা , বাংলাদেশের পরিচয় পত্র, ঠিকানা ভ্যারিফিকেশনের জন্য ইউটিলিটি বিলের কপি ও মেইন কপি, এবং আরো কি কি জেনো লাগে। ট্রানসিট ভিসা পাবেন ১৫ দিনের জন্য, নেপালি ভিসা পাবেন ৩০ দিনের জন্য।

টিপস্ঃ

১। কাঠমান্ডু থেকে পোখারা যাবার সবচেয়ে ভাল মাধ্যম ট্যুরিস্ট বাস। ভাড়া ৫৫০-৬০০ নেপালী রুপি। কাঠমান্ডু পৌছে যে হোটেলে রুম নিবেন ওই হোটেলের রিসেপশনেই টিকেট পাবেন। সব বাসের কোয়ালিটি একই। বাসে সামনের দিকে সিট নিবেন। নাহলে জার্নি অনেক কস্টের হয়ে যাবে। জানালার পাশে সিট পেলে বোনাস। কাঠমান্ডু থেকে পোখারার রাস্তার দুইপাশের ভিউ অসাধারন। টিকেট কাটার দালাল আছে অনেক এয়ারপোর্টে। ওরা ভুগোল বুঝায়ে অনেক বেশি টাকা নিবে। ওদের সাথে কথা বলারই দরকার নাই। ট্যুরিস্ট বাসের কোন অভাব নাই। সো সিট না পাওয়ার কোন টেনশন নাই। বাস ছাড়ে সকাল ৭টা ৩০এ। বাস পার্ক থামেল থেকে ৫ মিনিটের হাটা দূরত্ব। মোবাইলে ডিরেকশনে দেখে চলে যেতে পারবেন।

২। কাঠমান্ডু ঘুরে দেখার জন্য সবচেয়ে ভাল ও সাশ্রয়ী পন্থা লোকাল ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করা। এয়ারপোর্টে কাঠমান্ডুর ট্যুরিস্ট ম্যাপ ফ্রীতে পাওয়া যায়। একটা নিয়ে রাখবেন। কাঠমান্ডু ঘোরার জন্য একটা রুট ম্যাপ বানাবেন। এমন ভাবে বানাবে যেন একই রাস্তায় ২ বার আসা না লাগে, সার্কিট রুট। কাঠমান্ডুর ট্যুরিস্ট এট্রাকশনগুলা পুরা শহরেই ছড়ায়ে ছিটায়ে আছে। তাই সবগুলা দেখতে ২ দিন লাগবে। কাঠমান্ডু শহরের ভিতর লোকাল ট্রান্সপোর্ট হিসাবে মাইক্রোবাস চলে। ভাড়া প্রতিজন ১০-২০ রুপি। এইগুলা ব্যবহার করে আর অল্প কিছুটা হাটাহাটি করে কাঠমান্ডু দেখে ফেলা যায়। সারাদিনে ২০০ রুপি ভাড়ার বেশি লাগবে না। ট্যাক্সি নিলে শুধু গলাই কাটবে না, কাঠমান্ডুর আসল মজাটাও পাবেন না। কাঠমান্ডুর মানুষজন খুবই ভাল। রাস্তা চিনতে সমস্যা হলে পুলিশ বা অন্য কাউকে জিজ্ঞাসা করলেই সাহায্য পাবেন। পোলাইট, জেন্টেল ও ক্লাসি হিসাবে বাংলাদেশীদের ভাল সুনাম আছে নেপালে। সুনাম বজায়ে রাখবেন আশা করি।

৩। পোখারাতে লেক বোটে পার হয়ে ২ ঘন্টার একটা হাইক দিলে ওয়ার্ল্ড পিস স্তুপাতে যাওয়া যায়। বেশ কস্টকর ক্লাইম্ব কিন্তু টোটালি ওর্থ ইট। সেই মাপের একটা কার্ডিও হয়ে যাবে। নামার সময় অন্য দিক দিয়ে নামবেন। ওই রাস্তাতেই গুপ্তেশ্বর কেভ আর ভেভি’স ফলস। ট্যাক্সি নিয়ে ঘুরলে অনেক মজার জিনিস মিস করবেন। যেমন, ওয়ার্ল্ড পিস স্তুপাতে উঠার সময় একটা ছোট দোকান আছে। ওইটার সামনে বসে পুরা পোখারা ভ্যালি দেখা যায়। অসাধারন একটা জায়গা।

৪। অরিজিনাল নেপালি হ্যানডিক্র্যাফটস পাবেন নাগোরকোট এ। থামেল এ বা পোখারা তে ও প্রচুর দোকান আছে। জাস্ট বুঝে শুনে নিতে হবে। ত্রিভুবন এয়ারপোর্ট থেকে লোকাল বাস নেই। ট্যাক্সি ভাড়া নেবে ৩০০। এয়ারপোর্ট এ লাইটার থাকলে রেখে দিবে। কাঠমন্ডু অনেক ক্রাউডি সিটী। ২ দিন সাইট সিন এর জন্য রাখা যায় মেক্স। ১ দিন কাঠমন্ডু থেকে নাগোরকোট ও ধুলিখেল। (পাহাড়ি উচ্চতায় দিনে দুপুরে শিত লাগতে পারে) আরেক দিন সিটি টুর। (ভগত পুর, দরবার স্কয়ার, হনুমান মন্দির ইত্যাদি) এর পর সকাল ঠিক সাড়ে সাত টায় যাবেন পোখারা। ৬/৭ ঘন্টার জার্নি। তবে ভালো লাগবে। হোটেল চেকিং করে ফিউয়া লেক আর রাতে দোকান পাট গুলোতে ঘুরতে পারেন। পরদিন সারাং কোট চলে যান খুব ভোরে অন্ধকার থাকা অবস্থায়। তাহলে অর্নপুর্না দেখা যাবে, সূর্যোদয় সহ। আসার পথে বেগনাজ লেক। পুন হিল ইজি ট্রেকিং করতে পারেন একদিন। এছাড়া পোখারাতে করতে পারেন রাফটিং ও পেরাগ্লাইডিং। পিস স্তুপা গেলে টাইম আগে দেখে নেবেন। বন্ধ হয়ে যেতে পারে। ওই রোড এই পুন্দি গড় ট্রেকিং করলে পাবেন সিদ্ধার্থ গার্ডেন এবং শেষ মাথায় পাবেন (best view of pokhara)

বি: দ্র : ঘুরতে গিয়ে দয়া করে পরিবেশ নষ্ট করবেন না,চিপস এর প্যাকেট, পানির বোতল এবং অপচনশীল দ্রব্য নির্ধারিত স্হানে ফেলুন।। এই পৃথিবী, আমার, আপনার সুতরাং নিজের দেশ এবং পৃথিবীকে সুন্দর রাখা এবং রক্ষনাবেক্ষনের দায়িত্বও আমার এবং আপনার হ্যাপি_ট্রাভেলিং

ভ্রমণ বিষয়ক তথ্য পেতে জয়েন করুন আমাদের ফেইসবুক গ্রুপ এবং ফলো করুন আমাদের পেইজ