কেরেলা ভ্রমণ-

কেরেলা (Kerala) বিচিত্র সৌন্দর্যে ভরপুর কেরালা বেশ জনপ্রিয় এক টুরিস্ট ডেসটিনেশন। প্রশান্তিময় কেরালা আপনার ভ্রমণ জীবনের সুন্দর এক উপাখ্যান হয়ে থাকবে। কেরেলার পাহাড়, ব্যাকওয়াটার, বীচ, ঝরনা এবং বন্যজীবন যেকোন প্রকৃতি প্রেমীকে অবশ্যই মুগ্ধ করবে। এই রাজ্যের একটি মূল্যবান হেরিটেজ এবং সমৃদ্ধ সংস্কৃতি রয়েছে, যেকোন ব্যক্তি এইরাজ্যের বিভিন্ন দুর্গ, প্রাসাদ, মিউজিয়াম, স্মারক স্তম্ভ এবং তীর্থস্থান গুলির মধ্যে সেগুলি খুঁজে পাবেন। প্রতিটি বাঁকে প্রাকৃতিক এবং মনুষকৃত উজ্জ্বল প্রভা আপনার জন্য অপেক্ষা করছে।

কেরেলা ভ্রমণের দর্শনীয় স্থান সমূহ

কেরেলা মূলত এর চোখ ধাঁধানো প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কারণে এটি বেশ জনপ্রিয়। আপনি যদি মালায়লাম মুভি দেখে থাকেন তাহলে হয়তো পর্দায় কেরালার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কিছু অংশ দেখে থাকবেন। এদের সিনেমাতে আমরা যেসব দৃশ্য দেখে থাকি তার অনেকটাই এই ‘গড’স ওন কান্ট্রি’ নামে পরিচিত কেরালায় ধারণকৃত।

এই হিসেবে এই রাজ্যের সাথে আমাদের ভালোই পরিচয় আছে, এটা ভারতের বেশ গুরুত্বপূর্ণ প্রদেশও বটে। সমুদ্র সৈকত, পর্বতমালা, এডভেঞ্চার, বন্য জীবন, কিংবা সংস্কৃতি কি নেই এখানে! উপকূলীয় এই শহরটি ভ্রমণকারীদের ভ্রমণ তালিকার একদম উপরের দিকেই থাকে সবসময় । মন্থরময় জীবন এটিকে পরিণত করেছে ভ্রমণের জন্য আদর্শ এক জায়গা। চলুন জেনে নেয়া যাক কেরালার বিখ্যাত জায়গা সম্পর্কে।

ওয়াইয়ানাদ

পাহাড়ি এলাকা ওয়াইয়ানাদ যেন সবুজে আচ্ছাদিত। এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পর্যটকদের অভিভূত করে। প্রচুর পরিমাণে নারিকেল গাছ,বনভূমি, ধান ক্ষেত এই জায়গাটিকে অসাধারণ সুন্দর এক ভূমিতে পরিণত করেছে। মূলত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের বৈচিত্র্যতার জন্যই এখানে অনেক এডভেঞ্চার প্রেমী প্রতিনিয়ত ভ্রমণ করে থাকেন। চেম্বড়া চূরা, মেনমুত্তি ফলস বিখ্যাত ট্র্যাকিং এর জন্য। এছাড়াও প্রাচী জৈন মন্দির, এদাক্কাল গুহা ইত্যাদি স্থানেও পর্যটকেরা ভ্রমণ করেন।

নীলা নদী

কেরালার সব থেকে লম্বা নদীটি হচ্ছে নীলা নদী। এটি বেশ জনপ্রিয় টুরিস্ট ট্রেইল। নদীর তীর ঘেঁষে পর্যটকদের জন্য কটেজ রয়েছে। অনেক পর্যটক অবকাশ যাপনের জন্য এই স্থানটিকে বেছে নিয়ে থাকেন। শান্ত-স্নিগ্ধ নদীটি পর্যটকদের প্রশান্তি দিয়ে থাকে। বৈচিত্র্যময় এই কেরালা পর্যটকদের ভ্রমণে বিচিত্র এক অভিজ্ঞতা হয়ে থাকে। এখানে অধিবাসীরাও বেশ অতিথিপরায়ণ। কেরালার সংস্কৃতির সাথে এসব পর্যটন স্থল ভ্রমণ যেন আপনার ভ্রমণ জীবনের এক সুন্দর স্মৃতিই হয়ে থাকবে।

স্বর্গালয়া ক্রাফটস ভিলেজ

২০১৬ সালে স্বর্গালয়া ‘ন্যাশনাল ট্যুরিজম এওয়ার্ড’ পাওয়ার গৌরব অর্জন করে। পর্যটক সমৃদ্ধ এই গ্রামটি কেরালার কোঝিকোডে অবস্থিত। পর্যটকরা কারিগরদের দক্ষ হাতে করা এসব নিপুণ ক্রাফটস বা কারুকাজ দেখেন এবং ক্রয় করেন। প্রতি বছর ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে এখানে আন্তর্জাতিক কারু শিল্পের মেলা বসে। সারা পৃথিবী থেকে ৪০০ এর অধিক কারুশিল্পী মেলাতে অংশ নিয়ে থাকেন। দেশ বিদেশের বহু পর্যটক মেলাটি উপভোগ করেন।

কুমারকম

কুমারকম গ্রামটি ভেম্বানদ সরোবরের উপর ভেসে থাকা একটি ক্ষুদ্র দ্বীপপুঞ্জ, এবং কুট্টানদ অঞ্চলের অন্তর্গত একটি স্থান। এখানকার পাখিরালয়, যা 14 একর অঞ্চলে ছড়িয়ে রয়েছে, পরিযায়ী পাখিদের একটি প্রিয় বিচরণ ক্ষেত্র এবং পক্ষীবিজ্ঞানী তথা পক্ষীপ্রেমীদের স্বর্গরাজ্য। বক, গয়ার, হেরন, বালিহাস, পানকৌড়ি, কোকিল, বুনোহাস এবং পরিযায়ী পাখি যেমন সাইবেরীয় সারস ইত্যাদি ঝাঁকে-ঝাঁকে এখানে আসে এবং পর্যটকদের মুগ্ধ করে দেয়। কুমারকমের পাখি দেখার সব থেকে ভাল পদ্ধতি হচ্ছে একটি নৌকোয় চড় এই গোটা দ্বীপপুঞ্জটির এক চক্কর দিয়ে নেওয়া।

কোভালাম

দক্ষিণ কেরালার থিরুবনন্তপূরম থেকে মাত্র 16 কিমি। কোভালম একটি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সমুদ্র সৈকত, যেখানে একটি-অপরটির সঙ্গে লাগোয়া তিনটি অর্ধচন্দ্রাকার বেলাভূমি রয়েছে। এই সমুদ্র সৈকত সেই 1930-এর দশক থেকেই বরাবর পর্যটকদের প্রিয় বিচরণ ক্ষেত্র হিসেবে বিবেচিত হয়ে এসেছে, বিশেষত ইউরোপীয়দের কাছে। এই সৈকতে একটি ভীমকায় পাথুরে শৈলান্তরিপ রয়েছে যা একে সমুদ্রস্নানের পক্ষে আদর্শ একটি শান্ত-স্নিগ্ধ সৈকতের রূপদান করে

বেকাল

বেকাল দুর্গ থেকে কম-বেশি এক কিলোমিটার, আর উত্তর কেরালার কাসারগোদ জিলার জাতীয় সড়কের উপর দক্ষিণ কাসারগোদ থেকে মোটামুটি 16 কিমি দূরত্বে স্থিত।

উত্তর কেরালার প্রান্তিক জিলা কাসারগোদ দুর্গ, নদী, পাহাড়, সুন্দর সমুদ্র সৈকত ও অসংখ্য দেব-দেবীর ভূমি হিসেবে পরিচিত। বেকালের মনোরম দুর্গটি কেরালার সর্ববৃহৎ ও সবচেয়ে সুন্দরভাবে সংরক্ষিত দুর্গ। বেকাল দুর্গের অনতিদূরে স্থিত অগভীর সমুদ্র সৈকতটির নাম বেকাল দুর্গ সৈকত, যা বেকাল পর্যটন উন্নয়ন নিগন (BRDC) কর্তৃক বিকশিত একটি বিলাসবহুল সমুদ্র সৈকত।

পুভার আইল্যান্ড

কোভালাম থেকে ৩০ মিনিট দূরত্বেই এই পুভার আইল্যান্ড রিসোর্টের অবস্থান। মালদ্বীপের মতো অতো সুন্দর না হলেও এটি পর্যটকদের মাঝে বেশ জনপ্রিয়। এই জায়গাতেই ‘নেয়ার নদী’ আরব সাগরের সাথে মিলিত হয়েছে। পর্যটকদের জন্য এখানে রাত্রি যাপন বেশ অসাধারণ এক অভিজ্ঞতা।

ফোর্ট কোচি

ফোর্ট কোচির ঐতিহাসিক শহরটিকে ভালভাবে দেখার সেরা উপায় হচ্ছে পায়ে হেঁটে বেড়িয়ে পড়া। আপনার সামনে এসে দাঁড়াবে ইমানুয়েল দুর্গ। এই দুর্গ-প্রাসাদটি অতীতে পর্তুগীজদের আস্তানা ছিল এবং কোচির মহারাজা সঙ্গে পর্তুগালের সম্রাটের বন্ধুত্বের প্রতীক ছিল, যাঁর নামেই এর নামকরণ। এই দুর্গ-প্রাসাদটি নির্মিত হয়েছিল 1503 সালে । প্রাচীন ঠাকুর হাউস, যেটি ঔপনিবেশিক যুগের একটি কংক্রিট স্থাপত্য। আছে ডেভিড হল। ডাচ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি দ্বারা এটি আনুমানিক 1695 সালে নির্মিত। হলটি খ্যাত নামা ওলন্দাজ সেনাপতি হেনড্রিক অ্যাড্রিয়ান ভ্যান রীড টট ড্র্যাকেস্টনের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। এখানকার বিখ্যাত প্যারেড গ্রাউন্ড, যে প্যারেড ময়দানে পর্তুগীজ, ওলন্দাজ ও ব্রিটিশ প্রত্যকেরই সৈন্য বাহিনী কুচকাওয়াজ করত।

কেরালা ব্যাক ওয়াটারস

কেরালার লেকগুলোতে হাউজ বোটে করে রাত্রিযাপন নিঃসন্দেহে আপনার ভ্রমণ অভিজ্ঞতায় এক নতুন মাত্রা যোগ করবে। এই লেকগুলোর চারপাশে খেজুর গাছের সমারোহ। খেজুর গাছের সমারোহে এই লেকগুলো ব্যাক ওয়াটার নামে পরিচিত। মজাদার ইন্ডিয়ান খাবারের সাথে লেকের মাঝে রাত্রি যাপন বেশ উপভোগ্য এবং টুরিস্টদের নিকট অত্যন্ত জনপ্রিয়। বেশিরভাগ ব্যাক ওয়াটার ভ্রমণ শুরু হয় আলেপ্পে  নামক স্থান থেকে। এই ব্যাক ওয়াটার ট্রিপে কাক্কাথুরুথু দ্বীপ থেকে সুন্দর সূর্যাস্তের দেখাও মেলে।

জটায়ু পার্ক

কেরালার পর্যটনে নয়া মাত্রা যোগ করতে তৈরি জটায়ু পার্ক। ৬৫ একর জায়গায় তৈরি বিশ্বের বৃহত্তম পাখির ভাস্কর্য খুলে দেওয়া হবে সামনের বছর জানুয়ারিতে। আরাও নানা অ্যাডভেঞ্চারের হাতছানিও থাকছে পৌরাণিক বিশ্বাসে ভর করে তৈরি এই জটায়ু পার্কে।

থেক্কাডি

থেক্কাডি শব্দটি শুনলেই যেন হাতির পাল, অসংখ্য পাহাড়ের সারি এবং সুগন্ধে ভরপুর মশলার বাগানের ছবি চোখের সামনে এসে হাজির হয়। থেক্কাডির পেরিয়ার বনাঞ্চলে রয়েছে ভারতবর্ষের অন্যতম শ্রেষ্ঠ অভয়ারণ্য এবং প্রায় সমগ্র জিলা জুড়ে বিস্তৃত ছবির মতো সুন্দর চা-বাগান এবং শৈলশহরগুলি ট্রেকিং ও পর্বতচারণের জন্য বিশেষ উপাদেয় স্থান।

পেরিয়ার ন্যাশনাল পার্ক

কেরালার থেক্কাডি জেলায় অবস্থিত পেরিয়ার ন্যাশনাল পার্ক দক্ষিণ ভারতের জনপ্রিয় পার্কের মাঝে অন্যতম। এই পার্কটি সারা বছর সব সময়ের জন্যই উন্মুক্ত। এই পার্কটি বন্য হাতির জন্য বিখ্যাত। এছাড়াও, এখানে হাতির ওপর ওঠে ৩০ মিনিটে জঙ্গল ঘুরে দেখা যায়। নৌকায় সাফারির সুব্যবস্থা রয়েছে এখানে। নৌকায় সূর্যাস্ত দেখা ট্যুরিস্টদের নিকট অত্যন্ত জনপ্রিয়। এছাড়াও বিভিন্ন ইকো ট্যুরিজম কার্যকলাপে ট্যুরিস্টরা অংশ নিয়ে থাকেন।

আলুঝোপ্পা

প্রাচ্যের ভেনিস নামে খ্যাত আলাপ্পুঝা চিরকালই কেরালার উপকূল কেন্দ্রিক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে এসেছে। বর্তমানে, এই স্থানটি এখানকার নৌচালন প্রতিযোগিতা, ব্যাকওয়াটার অবসরযাপন, সমুদ্র সৈকত, সামুদ্রিক পণ্যসামগ্রী এবং ছোবড়া শিল্পের জন্য বিখ্যাত। আলাপ্পুঝা বেলাভূমি একটি উত্তম পিকনিক করার জায়গায়ও বটে। সমুদ্রের মধ্যে অনেক দূর পর্যন্ত বিস্তৃত হয়ে যাওয়া এখানকার জেটিগুলি 137 বছরের পুরনো। সৈকতকেন্দ্রিক বিনোদনের সুবিধার মধ্যে বিজয়া সৈকত উদ্যান বিশেষ উল্লেখের দাবি রাখে। এছাড়াও অনতিদূরে স্থিত লাইটহাউসটিও পর্যটকদের বিশেষ আকর্ষণের বিষয়।

মুন্নার

কেরালার পশ্চিমঘাট পর্বতমালার শৈল শহর হিসেবে পরিচিত মুন্নার এক জনপ্রিয় পর্যটন স্থান। শহরটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৫২০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। পাহাড়ি আঁকাবাঁকা পথ পেরিয়ে শুধু চা বাগানই নয় জলপ্রপাত, নদী, অরণ্য আর নান্দনিক পার্ক- সব মিলে শহরটি অসাধারণ সুন্দর। শান্ত, নির্মল ও নিরালা এই শহরের রাস্তাগুলোও দেখার মতো। মুথিরাপুরা, নল্লাথান্নি ও কুন্ডালা এই তিনটি পার্বত্য নদীর মিলনস্থলে শহরটি গড়ে উঠেছে।

মারারী সৈকত

আলেপ্পে থেকে ৩০ মিনিট দূরত্বে অবস্থিত মারারী সমুদ্র সৈকত অত্যন্ত স্নিগ্ধ এবং প্রশান্তিময়। সৈকতের সাথেই বেশ কিছু রিসোর্ট রয়েছে যেখান থেকে সমুদ্র দেখা যায়। অনেক ভ্রমণকারীই রিসোর্ট গুলিতে ছুটি কাটিয়ে যান মনের প্রশান্তির জন্য। এখানে অনেক পুরনো এক জেলেপাড়াও রয়েছে।

ভ্রমণের সেরা সময়

কেরেলা ভ্রমণের সেরা সময় বর্ষাকাল।

কিভাবে যাবেন

কেরেলা যেতে হলে হাওড়া থেকে এর্নাকুলাম অথবা ফ্লাইটে কলকাতা থেকে কোচি ৷ এর পর বাকি সফর গাড়িতে৷ সঙ্গে বেশি লোকজন থাকলে পাহাড়ি রাস্তায় ছোট ছোট বাসই সুবিধাজনক৷ শেষ গন্তব্য কন্যাকুমারী থেকে হাওড়া পর্যন্ত ট্রেন রয়েছে৷ কলকাতা থেকে কেরেলা যেতে চাইলে প্রথমেই যেতে হবে কোচি অথবা এর্ণাকুলাম শহরে যা রেলপথে প্রায় ২৪০০ কিমি আর আকাশপথে ১৯০০ কিমি। কোচি ও এর্ণাকুলার যমজ শহর। ট্রেনে নামতে হবে এর্নাকুলাম ষ্টেশনে। সময় লাগবে ৪৮ ঘন্টা। আর আকাশপথে সাড়ে তিন ঘন্টা কিন্তু মাঝখানে Bangalore প্রায় সাড়ে তিন ঘন্টা অপেক্ষা করে প্লেন পাল্টে কোচির প্লেন ধরতে হয় তাই টোটাল সময় লাগে ৭ ঘন্টা।

কোথায় থাকবেন

কেরেলা থাকার জন্য হোটেলের ব্যবস্থা আগে থেকে করে যাওয়া ভাল৷ সেক্ষেত্রে বিভিন্ন ট্যুরিজম কোম্পানি হোটেল বুকিং-এর কাজ করে থাকে৷ তাছাড়া আজকাল বিভিন্ন ট্যুরিজম সাইট বা অ্যাপ থেকে সুবিধামতো হোটেল বেছে নেওয়া যায়৷ সব জায়গাতেই রয়েছে কেরল পর্যটন উন্নয়ন নিগমের হোটেল। তবে এর্নাকুলমের বোলগাট্টি আইল্যান্ড রিসোর্ট এবং মুন্নারে টি-কাউন্টিতে ঘরভাড়া তুলনায় অনেক বেশি। পেরিয়ারে আছে পেরিয়ার হাউস, আলেপ্পিতে আছে ট্যামারিন্ড আলাফুজা, কোল্লামে রয়েছে ট্যামারিন্ড কোল্লাম এবং তিরুঅনন্তপুরমে রয়েছে হোটেল চৈত্রম। হোটেলগুলি অনলাইনে বুক করার জন্য লগইন করুন www.ktdc.com। হোটেল বুকিং-এর বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে বেসরকারি হোটেলের সন্ধান পেয়ে যাবেন।

বি: দ্র : ঘুরতে গিয়ে দয়া করে পরিবেশ নষ্ট করবেন না,চিপস এর প্যাকেট, পানির বোতল এবং অপচনশীল দ্রব্য নির্ধারিত স্হানে ফেলুন।। এই পৃথিবী, আমার, আপনার সুতরাং নিজের দেশ এবং পৃথিবীকে সুন্দর রাখা এবং রক্ষনাবেক্ষনের দায়িত্বও আমার এবং আপনার হ্যাপি_ট্রাভেলিং

ভ্রমণ বিষয়ক তথ্য পেতে জয়েন করুন আমাদের ফেইসবুক গ্রুপ এবং ফলো করুন আমাদের পেইজ