আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ ভ্রমণ

আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ  (Andaman Islands)  ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের এক সময়ে ‘দ্বীপান্তর’-এ পাঠানো হত। ‘কালাপানি’ পেরিয়ে যেতে হত সেই দ্বীপে। সে ছিল এক বিভীষিকা। এখন সেই ‘দীপান্তর’-এর দ্বীপ ভারতের অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটনক্ষেত্র। বর্তমান সময়ের পর্যটকদের কাছে এটি নীল পানির দ্বীপ নামেই বেশি পরিচিত।। আন্দামান দীপপুঞ্জ যা ব্রিটিশদের কাছে কালাপানি নামে পরিচিত ছিলো। চারদিকে নীল জলরাশি। তার মাঝে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে স্থলভূমি। রয়েছে সবুজ পাহাড়ি অরন্য আর রুপালি বালুকাবেলা। নারকেল গাছের ছায়ায় ঘেরা নির্জন দ্বীপপুঞ্জের কোথাও দেখা যাবে হরিণ এর দল। হাত বাড়ালেই সমুদ্রের জলে মিলবে বিবিধ রঙের প্রবাল ও রঙিন মাছ।। মনোরঞ্জনের জন্য সমুদ্রে রয়েছে ওয়াটার স্পোর্টসের ব্যবস্থা।।

এশিয়া মহাদেশের মধ্যে একমাত্র আদিম মানুষের বসবাস আছে এই আন্দামান দ্বীপে তবে যেখানে সভ্য মানুষের বসবাস সেখান থেকে আদিম মানুষের বসবাসের দূরত্ব প্রায় ১৫৫ কি.মি. দূরে অবস্থিত। এই দীপটির নাম সেন্টিনেল আইল্যান্ড যেখানে প্রায় ৪০০/৫০০ আদিম মানুষের অস্তিত্ব এখনো বিদ্যমান আছে। এখানে যাওয়া সম্পুর্ন নিষিদ্ধ করেছে ভারতের সেনা বাহিনী। এই সেন্টিনেল দীপের ৩ কি.মি. এরিয়া পর্যন্ত ২৪ ঘন্টা টহল দিয়ে থাকে ভারতের নৌবাহিনী।

আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের দর্শনীয় স্থান  

করবাইনস কোভ ও ওয়ান্ডুর (পোর্ট ব্লেয়ার), রাধানগর, বিজয়নগর, গোবিন্দনগর ও এলিফ্যান্ট (হ্যাভলক আইল্যান্ড), হামিন্দার বে বিচেস (হাট বে আইল্যান্ড), কারমাটাং (মায়াবন্দর), রামনগর (ডিগলিপুর

করবাইনস কোভ ওয়ান্ডুর (পোর্ট ব্লেয়ার)

আবেরদিন বাজার থেকে মাত্র ৬ কিমি দূরে নারকেল গাছে ছাওয়া স্নানের উপযোগী বিখ্যাত করবাইনস কোভ বিচ। সৈকতটি যেন অনেকটা বাঁকানো চাঁদের মতো। কোরাল সাইটিং ও সাঁতার কাটার জন্য আদর্শ স্বচ্ছ নীলাভ জলের ওয়ান্ডুর সৈকতটি পোর্টব্লেয়ার থেকে ২৫ কিমি দূরে অবস্থিত। যাওয়ার জন্য বাস মিলবে। কাছেই কোরাল মিউজিয়াম। একটু অ্যাডভেঞ্চারের নেশা থাকলে সকাল সকাল বেরিয়ে বিচ সংলগ্ন গুহা দেখে আসতে পারেন।

দ্বীপ

বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া ওয়ান্ডুর জেটি থেকে জলিবয় দ্বীপ যাওয়ার লঞ্চ ছাড়ে। পোর্টব্লেয়ার থেকে মোড়ক সফরেও এখানে আসতে পারেন। মহাত্মা গান্ধী ন্যাশনাল পার্কের অন্তর্গত ১৫টি দ্বীপের অন্যতম একটি হল এই জলিবয়। এ দ্বীপে জলকেলির অগাধ ব্যবস্থা আছে। স্নরকেলিং চশমায় অগভীর জলের ভেতরের প্রবাল দেখতে পোশাক ভাড়া পাওয়া যেমন, তেমনি ফাইবার গ্লাস বটম বোটে সমুদ্রের তলার প্রবাল জগৎও দেখে নিতে পারেন। ওয়ান্ডুর জেটি থেকে রেড স্কিল দ্বীপেও যাওয়া যেতে পারে।

হ্যাভলক নীল দ্বীপ

হ্যাভলকে রয়েছে রাধানগর সৈকত যা এশিয়ার সেরা এবং বিশ্বের ৮ম সেরা সমুদ্র সৈকত হিসাবে নির্বাচিত। জনপ্রিয়তার জন্য এখানে সবসময় টুরিস্টদের ভিড় লেগে থাকে। তবে তা সত্ত্বেও এটি অবশ্যই দেখার বস্তু। কোনমতেই বাদ দেয়া উচিত না। একদা পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালি উদ্বাস্তুরা ঘর বেঁধেছেন হ্যাভলকে। তাই রাধানগর, বিজয়নগর কিংবা গোবিন্দনগর নামের কিছু অপরূপ সৈকত নজরে আসবে আপনার। কেমন বাঙালি নাম। ভারী সুন্দর এই হ্যাভলক দ্বীপ। ধানখেত, নারকেল, সুপারি, আম, কাঁঠালে ছাওয়া আদ্যন্ত বাংলার পরিবেশ যেন। একদিকে প্রবাল সাগর, অন্যদিকে হালকা অরণ্য। মন ভাল করে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট। দ্বীপের ওপ্রান্তে রাধানগর সৈকত। গোধূলীতে সেখানে আকাশে আগুন লাগে। নীলাভ ঢেউয়ের পাশে বালুকাবেলায় বসে সূর্যের সেই লালাভ সংলাপ শুনতে শুনতে নিজেকে মেলে ধরুন। কিন্তু এতো গেল অপরাহ্নের কথা, হ্যাভলকের রাধানগর সৈকতে ভোর হওয়াটাও কিন্তু অসম্ভব সুন্দর। রাজকীয় মহিমায় উদ্ভাসিত হয়ে যখন সেখানে সূর্যদেব জাগেন ভাঁটার জল সরে যাওয়া সৈকতটি তখন স্যান্ডপাইপার, প্লোভার আর কাঁকড়াদের দখলে। স্পিড রাইডারে ঘুরে আসতে পারেন সংলগ্ন এলিফ্যান্ট বিচ। গভীর জলের কোরাল রিফ সেখানে অসাধারণ হয়ে ধরা পড়ে। স্নরকেলিং ছাড়াও নানা জলবিহারের ব্যবস্থা রয়েছে এখানে।

স্কুবা ডাইভিং

যারা একটু অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় তাদের অবশ্যই স্কুবা ডাইভিং করা উচিত না হলে জীবনের সেরা অভিজ্ঞতার একটি মিস করবেন। যারা সাঁতার জানেন না তারা ভঁয় পাবেন না। এখানে অভিজ্ঞ প্রশিক্ষক দিয়ে ভালোভাবে প্রশিক্ষণ দিয়েই স্কুবা ডাইভিং করানো হয়। এছাড়া আরও অনেক মজার মজার ওয়াটার রাইড আছে। এখান থেকে রাতে পোর্ট ব্লেয়ার এ ফিরতে হবে।

রস আইল্যান্ড

নারকেল গাছে ভরা ২ কিমি পূর্বে অবস্থিত একদা প্রশাসনিক সদর রস আইল্যান্ড এখনও কোয়ার্টার্স, চার্চ, সমাধিস্থল, সেনা মিউজিয়াম, হাসপাতাল, টেনিস কোর্ট– এইরকম অনেক ব্রিটিশ স্মৃতি বয়ে বেড়াচ্ছে।

ভাইপার আইল্যান্ড

জেল, ফাঁসিমঞ্চের মতো বিষাদগাঁথায় ভরা ভাইপার আইল্যান্ড। তত্কালীন ব্রিটিশ রাজত্বে এই দ্বীপে মহিলা কয়েদীদের রাখা হত ও ফাঁসি কাঠে ঝোলানো হত।

রঙ্গত দ্বীপ

পোর্টব্লেয়ার থেকে ছাড়া লঞ্চ হ্যাভলক ছুঁয়ে রঙ্গত যায়। তবে রঙ্গত যেতে একরাত হ্যাভলকে কাটানো ভাল। হ্যাভলক ছেড়ে স্ট্রেইট আর লঙ আইল্যান্ড হয়ে তবে রঙ্গত যেতে হয়। একদিকে পাহাড় ঘেরা প্রাচীর আর অন্যদিকে সোনালী বেলাভূমি নিয়ে রঙ্গত দ্বীপটি ভারী সুন্দর। এখানকার আমকুঞ্জ সি বিচ, স্টোন বিচ ও দানিলালা সি বিচ সৈকত তিনটি সত্যিই অসাধারণ।

ডিসেম্বর থেকে মার্চে কার্টবার্ট বে সৈকতে হাজার হাজার কচ্ছপ ডিম পাড়তে আসে। প্রকৃতি সহায় হলে সে বিরল দৃশ্য দেখে নিতে পারেন। চাঁদনি রাত হলে তো কথাই নেই, অন্যথায় টর্চকে সঙ্গী করেও সাক্ষী হতে পারেন। একানকার সৈকতটি দারুন সুন্দর। সকালে সূর্যোদয় মোহময় হয়ে ধরা দেয়। সে দৃশ্যে মজে যাওয়ার পরে গভীর সমুদ্র থেকে জেলেদের ফিরে আসা দেখতে ভুলবেন না। ভেটকি, কাঁকড়া, হাঙর, চিংড়ি ছাড়াও আরও নাম-না-জানা মাছ স্তুপাকৃতি হয়ে থাকে সমুদ্রতটে।

পাহাড়ি ঢালে ঘন জঙ্গল। একধারে কেয়াঝোপ আর ব্যাক ওয়াটারে ম্যানগ্রোভ অরণ্য– এই নিয়ে পঞ্চবটী সৈকত। পাহাড়, সাগর, আকাশ, অরণ্য এক হয়েছে এখানে। আছে চিত্রবিচিত্র প্রজাপতি। ঘন্টার পর ঘন্টা কোথা দিয়ে কেটে যাবে বুঝতেই পারবেন না।

মায়াবন্দর

যেমন সুন্দর নাম, তেমনি নেশা ধরানো পরিবেশ। পাহাড়ি ঢালে গাছগাছালি। পান্না সবুজ জলরাশি। সবুজের সঙ্গে নীলের এক সুগভীর সখ্য এখানে। বেশ বড় জনপদ মায়াবন্দর। বন্দর শহরও বলা যায় একে। জল-জঙ্গলের এমন সুন্দর কবিতা আর কোথায় লেখা হয়েছে জানি না, তবে মায়াবন্দরের কারমাটাং সৈকতের মতো এমন আশ্চর্য সুন্দর বেলাভূমি খুঁজে পাওয়া ভার। এখানকার পোকাদেরাও সৈকত বা রামপুরা সৈকতেরও আলাদা আকর্ষণ। দুপাশে ম্যানগ্রোভ অরণ্য রেখে লোকালয়ে খাড়ি ঢুকেছে। মায়াবন্দরের সূর্যাস্তও অসাধারণ।

ডিগলিপুর

কেওড়া, গড়ান, হেতালের মতো ম্যানগ্রোভ অরণ্যের অসাধারণ সৌন্দর্য নিয়ে ডিগলিপুর. গোটা রাস্তাটাই চমত্কার। বাসে সময় লাগে ঘন্টা চারেক। ভাড়া গাড়িও পাবেন। উত্তর আন্দামানের একেবারে উত্তরপ্রান্তে এই ডিগলিপুর। অরণ্যের সবুজ, সমুদ্রের নীল আর আকাশের সাদা মেঘের রঙে ডিগলিপুরে যেন ক্যালাইডোস্কোপের বাহার। এখানেও বাঙালি আবহ। সেই ধানক্ষেত, সবুজ শাক সবজির খেত, কলা, সুপুরি, নারকেলের সারি সারি গাছের ভিতর দিয়ে আম কাঠালের বেড়ে ওঠা। প্রবালে প্রবালে ছেঁয়ে আছে এখানকার কালিপুর সৈকত। স্পিড রাইডারে আকর্ষণীয় রস ও স্মিট আইল্যান্ড ঘুরে আসতে পারেন। এছাড়াও এখানে রয়েছে এরিয়াল বে, মেরিন পার্ক ও ওয়াটার কমপ্লেক্স। ট্রেক করে উঠতে পারেন শ্যাডল পিক। উচ্চতা আড়াই হাজার ফুট।

বারাটাং

আসলে ২৩.৮ বর্গ কিমির একটি দ্বীপ। মিডল আন্দামান জেলার রানি এই বারাটাং। পোর্টব্লেয়ার থেকে মোটামুটি ১০০ কিমি দূরে এর অবস্থান। জলপথ বা সড়ক দু’পথেই আসা যায় এখানে। সড়ক পথে গেলে ধরতে হবে আন্দামান ট্রাঙ্ক রোড, যা জারোয়া অধ্যুষিত অঞ্চল হয়ে যাবে। সময় লাগবে সাড়ে তিন ঘন্টার মতো। পোর্টব্লেয়ার থেকে জিরকাটাং এবং সেখান থেকে নিলাম্বর হয়ে বারাটাং যেতে হয়। ম্যানগ্রোভ ঘেরা খাঁড়ি পথ বেয়ে বেয়ে অ্যাডভেঞ্চার আর অশেষ উত্তেজনার দ্বীপ এই বারাটাং। ভারতের একমাত্র মাড ভলকানো এখানেই আছে। স্থানীয়দের কাছে এটি জলকি নামে পরিচিত। গত ২০০৫ সালে এখানে এখন অব্দি শেষ অগ্নুত্পাত হয়েছে। তার আগেরটি ঘটেছিল ২০০৩ সালে। এখানকার লাইমস্টোন কেভ দেখতে ভুলবেন না।

আন্দামানে যে কয়দিনই ভ্রমণ করেন না কেন- সাথে একটা অতৃপ্তি নিয়েই আপনাকে ফিরতে হবে। পৃথিবীর এই অঢেল সৌন্দর্য্য আমাদের বারবার তা-ই মনে করিয়ে দেয় যে, আমাদের ভেতর এক যাযাবর পথিক বাস করে। সে মুক্তি চায়। সে আবিষ্কার করতে চায়। সে সকল সৌন্দর্য্যকে জয় করতে চায়। ফিরবার বেলায় বিমানের জানালা থেকে যখন শেষবারের মতো নীল জলরাশির দিকে চোখ পড়বে, তখন ঠিক মনে পড়বে- এই এখানে আপনি এর আগেও এসেছিলেন। কোন পূর্বপুরুষের চোখ দিয়ে আপনি ভয়ংকর সুন্দরকে ভালোবেসে ফেলেছিলেন। এখানের আলো-বাতাস-নোনা জল আপনার বহু বছরের চেনা রক্তে বইছে।

ভ্রমণের সেরা সময়

নভেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ ভ্রমণের আদর্শ সময়।

অনুমতি

আন্দামানে প্রবেশের জন্য সকল বিদেশী পর্যটকদের বিশেষ অনুমতি নিতে হয়। খুব সহজেই আন্দামান এয়ারপোর্ট বা সী-পোর্টে এই অনুমতি নেওয়ার ব্যবস্থা আছে। তবে সাধারণ পর্যটকদের জন্য নিকোবর ভ্রমণের উপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

কিভাবে যাবেন

কলকাতা থেকে বিমান বা জলপথে আন্দামানের রাজধানী পোর্টব্লেয়ার যাওয়া যায়। এখন বিমান যাত্রা স্বস্তা এবং সময় দামী হয়ে যাওয়াতে অনেকেই আকাশপথ পছন্দ করছেন। কখন যাচ্ছেন ও কবে টিকিট কাটছেন তার ভিত্তিতে বিমানে যাওয়ার জন্য খরচ পড়ে মোটামুটি ৩,৫০০ টাকা থেকে ৭,০০০ টাকার মধ্যে। তবে তিন দিনের সফেন সমুদ্র-সফরে যাঁরা পিছপা নন তাঁরা শিপিং কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড-এ যোগাযোগ করুন। ভাড়া: ডিলাক্স কেবিন– ১১,২৯৫ টাকা, ফার্স্ট ক্লাস কেবিন– ৯,৩৬৫-১০,২৯০ টাকা, সেকেন্ড ক্লাস কেবিন– ৭,৪৪৫-৯,৩৬৫ টাকা, বাঙ্ক ক্লাস- ২,৯০৫ টাকা। এদের ঠিকানা- ১৩, স্ট্র্যান্ড রোড, গ্রাউন্ড ফ্লোর, কলকাতা ৭০০ ০০১।

কোথায় থাকবেন

আন্দামানে থাকা একটু খরচ সাপেক্ষ এমন একটা ধারনা আছে অনেকের, তাঁদের অবগতির জন্য জানাই সেখানে কিন্তু নানা মানে ও নানা দামে থাকার ব্যবস্থা আছে। ব্রেড অ্যান্ড ব্রেকফাস্ট পদ্ধতিতে মাত্র ৬০০ টাকার সাধারণ দ্বিশয্যা থেকে ২,৫০০ টাকার এসি দ্বিশয্যা ব্যবস্থা যেমন আছে তেমনি সাধারণ থেকে তারকা শোভিত হোটেল/রিসোর্টও পাবেন।

বি: দ্র : ঘুরতে গিয়ে দয়া করে পরিবেশ নষ্ট করবেন না,চিপস এর প্যাকেট, পানির বোতল এবং অপচনশীল দ্রব্য নির্ধারিত স্হানে ফেলুন।। এই পৃথিবী, আমার, আপনার সুতরাং নিজের দেশ এবং পৃথিবীকে সুন্দর রাখা এবং রক্ষনাবেক্ষনের দায়িত্বও আমার এবং আপনার হ্যাপি_ট্রাভেলিং

ভ্রমণ বিষয়ক তথ্য পেতে জয়েন করুন আমাদের ফেইসবুক গ্রুপ এবং ফলো করুন আমাদের পেইজ