নিউজিল্যান্ড পাড়া,খাগড়াছড়ি-

নিউজিল্যান্ড পাড়া, খাগড়াছড়ি শহর থেকে ১.৫ কিঃ মিঃ দক্ষিনে পানখাই পাড়ার পাশে অবস্থিত। পানখাইয়া পাড়া থেকে বেরিয়ে পেরাছড়া গ্রামের দিকে যাওয়ার রাস্তাটাই হলো সেই নাম করা দৃষ্টি নন্দন নিউজিল্যান্ড সড়ক। এই নিউজিল্যান্ড সড়কের দুই পাশে এলাকা জুড়ে সবুজ ক্ষেত খামার, নিউজিল্যান্ড পাড়াই খাগড়াছড়ির একমাত্র সমতল ভূমি। সবুজ শস্যক্ষেত আর তার পিছনের পাহাড়ের মিতালি এক অসাধারণ নান্দনিক সৌন্দর্য এখানে ছড়িয়ে আছে। পাহাড়ের কোলঘেষেঁ নতুন আবাসিক এলাকা গড়ে উঠছে। শহরের ভেতরে পাহাড় আর ধানখেতের মিতালি। এলাকার ল্যান্ডস্কেপটা দেখতে নিউজিল্যান্ডের মত। তাই স্থানীয় মানুষ এর নাম দিয়েছে নিউজিল্যান্ড পাড়া। মূলত পানখাইয়া পাড়া আর পেরাছড়ার কিছু অংশ নিয়েই নিউজিল্যান্ড পাড়া গঠিত। এ যেন অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের এক টুকরো নিউজিল্যান্ড ঠাঁই পেয়েছে বাংলাদেশের বুকে।

বয়ষ্ক লোক মুখে শোনা যায়, বহু বছর আগে এক পাহাড়ি ভদ্রলোক এই এলাকা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় বলেছিলেন আহ্ কত সুন্দর মনোমুগ্ধকর নিউজিল্যান্ডের মতো বাতাস সেই থেকে নাকি এই এলাকার নাম হয়ে গেছে নিউজিল্যান্ড পাড়া। বিস্তৃত এলাকা জুড়ে সবুজ শস্যখেত আর দূরের পাহাড়ের সারির মিতালি। এখানে সবুজ এর সমারোহে এক নান্দনিক সৌন্দর্যের সৃষ্টি হয়েছে। এই জন্যই নিউজিল্যান্ড পাড়াটি আলাদাভাবে পর্যটকদের নজর কেড়েছে। এজন্যই প্রতি বছর দূর দুরান্ত থেকে এখানে প্রচুর পর্যটক এর আগমন ঘটে। মনকাড়া সুন্দর প্রকৃতির এক অন্য রকম রূপ এই এলাকা। এই এলাকায় যতদূর দৃষ্টি যায় শুধু সবুজ আর সবুজ । কোথাও আবার সবুজ ধানক্ষেত, আবার কিছু এলাকা একেবারে ন্যাড়া গাছ, দূরে কিছু বাড়ি ঘর,এর আরো দূরে দাঁড়িয়ে আছে সারি সারি উঁচু পাহাড় দেখলে মনে হবে কে যেন নিজ হাতে সাজিয়ে রেখেছে ।

শহরের মাঝে তবু শহর নয়। অনিন্দ্য সুন্দর প্রকৃতির এক অনবদ্য রূপ এই এলাকা।। খাগড়াছড়ি শহরের পাশ দিয়ে সর্পিল একেঁবেকেঁ বয়ে যাওয়া চেঙ্গি নদীর লালচে ঘোলা পানি কর্ণফুলী নদীর সাথে মিশে একাকার।।মাঝেমাঝে নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর বৈচিত্র্যময় জীবনধারা,কোথাও সবুজের চাদরে মোড়ানো জুম চাষের খেত এখানকার সৌন্দর্যে ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে ।। এখানকার প্রকৃতিতে গাঢ় সবুজ পাহাড়, কলকলে বয়ে যাওয়া নদী, দূরে ঝিরঝির শব্দের ঝর্ণা, ওপরে নীল আকাশ, মাঝে মাঝে সাদা মেঘ, বর্ষায় বৃষ্টির রিমঝিম শব্দ, রাতের আকাশে চন্দ্র-তারা ও দিনের আলোয় লাল সূর্য মিলেমিশে একাকার।

দিগন্ত বিস্তৃত ক্ষেত, পাহাড়, সুনীল মেঘ আর আকাশের মিতালী মুগ্ধ করবে আপনাকে। দিনের শেষে, শেষ বিকেলের ঝিরি ঝিরি বাতাস আপনাকে নিমিষেই চাঙ্গা করে তুলবে। প্রকৃতিতে গাড় সবুজ পাহাড়, দূরে পাহাড়ি ঝিরঝির শব্দের ঝর্ণা, উপরে নীল আকাশ, মাঝে মাঝে শুভ্র মেঘ, গোধূলি লগ্নে লাল সূর্যের আভা সবকিছু মিলে মিশে একাকার হয়ে এক অপরুপ সৌন্দর্যের জন্ম দিয়েছে। অসাধারণ এক বিকেল উপভোগ করতে পারবেন, চারপাশের এই সবুজ স্নিগ্ধ রূপ বিমোহিত করবে আপনাকে । দিগন্ত জুড়ে এই সবুজ ক্ষেত, পাহাড়ের অরেন্য, সুনীল আকাশ আর মেঘের মিতালী আপনার মনে জাদুর ছোঁয়া এঁকে যাবে । এখানকার সৌন্দর্য আপনাকে এনে দিবে ভিন্নমাত্রা। তাই কখনো খাগড়াছড়ি বেড়াতে গেলে অবশ্যই ঘুরে আসবেন বাংলার বিখ্যাত খ্যাত নামা নিউজিল্যান্ড পাড়া । এখানকার প্রকৃতিতে গাঢ় সবুজ পাহাড়, কলকলে বয়ে যাওয়া নদী, দূরে ঝিরঝির শব্দের ঝর্ণা, নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা,ফসলের মাঠের মেলা, বর্ষায় বৃষ্টির রিমঝিম শব্দ, রাতের আকাশে চন্দ্র-তারা ও দিনের আলোয় লাল সূর্য আপনাকে রূপকথার রাজ্যে নিয়ে যাবে কিইছুক্ষনের জন্য।।সব কিছুর মেলাবন্ধনে নিউজিল্যান্ড পাড়াটি যেনো এক টুকরো স্বর্গরাজ্য।।

কিভাবে যাবেন

ঢাকা থেকে বাসে খাগড়াছড়ি শহরে চলে আসতে পারবেন। খাগড়াছড়ি শহর থেকে সিএনজি বা অটোতে করে নিউজিল্যান্ড পাড়া যেতে পারেন। এর সাথে চাইলে আপনি সাজেক ভ্রমণের প্ল্যান করে নিতে পারেন। এতে অর্থ ও সময় দুটি বাচবে। এছাড়া হাজাছড়া ঝর্ণাও দেখে নিতে পারেন।

কোথায় খাবেন

খাগড়াছড়ি শহরের শাপলা চত্বর এবং বাস ট্যান্ড এলাকায় বেশ কিছু রেসটুরেন্ট আছে।। এছাড়া পানথাই পাড়ার সিস্টেম রেস্তোরাঁতে কফি,হাসের কালাভুনা,বাশকুড়ুল, এবং ঐতিহ্যবাহী পাহাড়ি খাবারের স্বাদ নিতে পারেন।।

কোথায় থাকবেন

খাগড়াছড়িতে বেশকিছু আবাসিক হোটেল রয়েছে, হোটেল শৌল্য সুবর্ন, জিরান হোটেল, হোটেল লিবয়ত,চৌধুরী বাডিং,থ্রী স্টার,ফোর স্টার, উপহার,নিলয় হোটেল ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।।

বি: দ্র : ঘুরতে গিয়ে দয়া করে পরিবেশ নষ্ট করবেন না,চিপস এর প্যাকেট, পানির বোতল এবং অপচনশীল দ্রব্য নির্ধারিত স্হানে ফেলুন।। এই পৃথিবী, এই দেশ আমার, আপনার সুতরাং নিজের দেশ এবং পৃথিবীকে সুন্দর রাখা এবং রক্ষনাবেক্ষনের দায়িত্বও আমার এবং আপনার।। হ্যাপি_ট্রাভেলিং

ভ্রমণ বিষয়ক তথ্য পেতে জয়েন করুন আমাদের ফেইসবুক গ্রুপ এবং ফলো করুন আমাদের পেইজ