শীতকালের ভ্রমণ –
প্রকৃতির হাওয়া বলে দিচ্ছে এখন শীতকাল। ঘুরতে যাওয়ার উত্তম সময় এখনই। সারা বছরই বেড়ানোর জন্যে উপযুক্ত থাকলেও আমরা সাধারণত শীতকালেই ভ্রমণ করতে বেশি পছন্দ করি। শীতের মধ্যে স্কুল-কলেজ কিছুটা বন্ধ থাকে। তাই কিছুদিন একটা ছুটির আমেজ থাকে। আর ভ্রমণের জন্যেও শীতের আবহাওয়া বেশ উপযোগী। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্টাডি ট্যুরের জন্যে এই সময়টাই বেছে নেয়। বিনোদন ও মানসিক প্রশান্তির জন্যে কর্মস্থল থেকে সবাই মিলে শীতে পিকনিক করা খুব সাধারণ ব্যপার হয়ে গেছে। শীত এলেই পরিবার পরিজন নিয়ে দেশে নাকি বিদেশে কোথায় ঘুরতে যাওয়া যায়, শুরু হয়ে যায় নানা পরিকল্পনা। অনেকেই ইতোমধ্যে ব্যাগপত্র গুছিয়ে বেরিয়েও পড়েছেন। আবার অনেকে পরিকল্পনা করছেন ঘুরতে যাওয়ার। একঘেয়েমি জীবন থেকে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে অনেক বড় ভূমিকা পালন করে ‘ভ্রমণ’।
তবে কোথাও যেতে হলে সবচেয়ে যেটা দরকার; তা হলো ভ্রমণ প্রস্তুতি। ভ্রমণ তখনই আনন্দের হবে, যখন আপনার প্রস্তুতি থাকবে সুন্দর ও গোছানো। প্রতিটি কাজের পেছনেই সঠিক পরিকল্পনা থাকা উচিত। ভ্রমণের ক্ষেত্রেও তাই। ঘুরতে যাবার আগে ভালো প্রস্তুতির ওপর নির্ভর করবে ভ্রমণ কতটা আনন্দময় হবে। বেড়াতে যাওয়ার আগে কমপক্ষে দু’দিন আগে প্রস্তুতি নিলেও সমস্যা নেই। দূরে কোথাও ভ্রমণের ক্ষেত্রে এক সপ্তাহ আগে প্রস্তুতি নিন। শারীরিক ও মানসিক প্রস্তুতি উভয়ই ভ্রমণের জন্য জরুরি। ঘুরতে যাওয়ার আগে, নিজের সঙ্গে কিছু ভ্রমণ অনুষঙ্গ রাখা উচিত; যা আপনার ভ্রমণকে আরও সহজ করে দেবে। বেড়াতে গিয়ে যদি মনে হয় গুরুত্বপূর্ণ কোনো অনুষঙ্গ বাড়িতেই ফেলে এসেছেন তখন কেমন লাগবে বলুন তো। তাই পূর্ব প্রস্তুতি দরকার। ভ্রমণের ছোটখাটো অনুষঙ্গের ব্যাপারে বিস্তারিত থাকছে এ লেখায়। সেই সঙ্গে এই শীতে আপনার ভ্রমণের আনন্দকে একধাপ বাড়িয়ে দিতে জেনে নিন কিছু ভ্রমণ টিপস।
শীতকালের ভ্রমণ প্রস্তুতি টিপস
কোথায় যাবেন
বেড়াতে যাওয়ার আগের প্রথমেই ভাবতে হয় কোথায় যাওয়া যায়? যেহেতু শীতে যাচ্ছেন, তাহলে আরও ভাবতে হবে শীতকালের জন্যে ভ্রমণের কোন জায়গাগুলো উপযোগী। কোথায় যাবেন এই সিদ্ধান্ত নিতে হলে যে জিনিসগুলো মাথায় রাখতে হবে তা হলো, কতদিনের জন্যে বেড়াতে যাবেন, আপনার বাজেট কত, সাগর, পাহাড়, বন, হাওর, নদী ঠিক কোন জায়গা আপনার বেশি পছন্দ, সঙ্গে কাদের নিয়ে যাবেন, যেখানে যাবেন সেখানকার সুযোগ সুবিধা কেমন। এই বিষয়গুলো চিন্তা করলেই আপনি পেয়ে যাবেন কোথায় যাওয়া উচিত।
কিভাবে যাবেন
ভ্রমণের পরিবহণ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনি বাস-লঞ্চ-ট্রেন-প্লেন-প্রাইভেট কার, কোনটায় যাবেন, এটা নির্বাচন করা জরুরি। যানজট এড়াতে স্থলপথ ব্যবহার না করাই শ্রেয়। এক্ষেত্রে ট্রেন প্রথম পছন্দ হতে পারে। আর সামর্থবান যারা, তাদের জন্য যদি উড়োজাহাজ। তবে যে পরিবহণই আপনি ব্যবহার করেন না কেন, সব থেকে বেশি যে বিষয়টা লক্ষ্য রাখবেন, তা হল আপনার জীবনের নিরাপত্তা, আপনার সুরক্ষা।
কোথায় থাকবেন
বেড়াতে গেলে কোথায় থাকবেন তার ওপর আপনার ভ্রমণের অনেক আনন্দ নির্ভর করে। আপনার বাজেট, আপনার ভ্রমণ সঙ্গী কতজন, কেমন পরিবেশে থাকতে চান, নিরাপত্তা ব্যবস্থা কেমন এই বিষয়গুলো ভেবেই কোথায় থাকবেন তার সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যেখানেই যান না কেন অবশ্যই ভ্রমণকালীন আবাস আগে থেকে ঠিক করে যাওয়াই শ্রেয়। যদি আগে থেকে সম্ভব না হয় তাহলে ভালোমতো খোঁজ খবর নিয়ে যাওয়া উচিত। ছুটির দিনগুলোতে ভিড় বেশি থাকে, হোটেল-মোটেলের ভাড়া বেশি হয়, এই বিষয়টা অবশ্যই মাথায় রাখবেন। যদি সম্ভব হয় ছুটির দিনগুলো এড়িয়ে গেলে অনেক কিছুতেই খরচ কমে যাবে।
খোঁজ খবর
যেহেতু ঘুরতে গেলে হাতে বেশি সময় থাকে না তাই যেখানে যাবেন ঠিক করেছেন, তার আশপাশে কি দেখার আছে, কোথায় কোথায় ঘুরতে যাবেন, কবে কখন কি করবেন তা আগেই খোঁজ খবর নিয়ে একটা তালিকা করে ফেলুন। এতে আপনার সময় বাঁচবে যেমন, তেমনি ঐখানের ভ্রমণ স্থানগুলো দেখতে পারবেন ভালো করে। সেখানকার আবহাওয়া ও আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি সম্পর্কে খরব নিয়ে যাবেন, পাশাপাশি সেখানকার জরুরি ফোন নাম্বার এবং লোকেশন সম্পর্কে তথ্য আগে থেকে সংগ্রহ করে রাখুন।
যেমন – নিকটস্থ থানা (পুলিশ), টুরিস্ট পুলিশের হেল্প ডেক্স নাম্বার, হাসপাতাল, স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র, আবাসিক হোটেল, ব্যাংক ইত্যাদি। যদি ওই এলাকার স্থানীয় কোনো পরিচিত কেউ থাকে তাহলে তার বা রেফারেন্স এর ফোন নাম্বার নেবেন। চেষ্টা করুন সেখানকার স্থানীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ করতে ফলে পরিবেশটি সম্বন্ধে অনেক কিছু জেনে নিতে পারবেন। এসব খোঁজ খবর আগে থেকেই করে রাখলে অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত সমস্যা থেকে সহজেই রেহাই পাওয়া যায়।
ব্যাগ প্যাকিং
কোথায় যাচ্ছেন এবং কতদিন সেখানে থাকছেন- সেটির ওপর নির্ভর করে আপনি ব্যাগে কী কী নেবেন। তবে ব্যাগের ওজন সমসময় চেষ্টা করবেন হালকা রাখার, এতে আপনি ঘুরে আরাম পাবেন। যেমন পাহাড়ে যেতে অনেকেই পছন্দ করেন। সে ক্ষেত্রে ব্যাগের ওজন যতটা কম রাখা সম্ভব রাখতে হবে। ভ্রমণের আগে ব্যাগ গোছানোর সময় মন দিয়ে দেখুন কী কী জামাকাপড় আপনার লাগবে। যে জিনিসগুলো আপনি ব্যাগে নেবেন তার একটি লিস্ট করে ফেলুন। লিস্ট দেখে টিক চিহ্ন দিয়ে ব্যাগে জিনিসগুলো ঢুকিয়ে নিন। এতে আপনারই সুবিধা কোনো জিনিস ফেলে যাচ্ছেন কিনা বুঝতে পারবেন। ছোট অনেকগুলো ব্যাগ না নিয়ে চেষ্টা করুন একটি ব্যাগেই সব নিতে। এতে জিনিসপত্র হারানোর ঝুঁকি কম থাকে। তবে প্রয়োজনীয় কসমেটিক, স্কার্ফ, মানিব্যাগ, পাসপোর্ট, সানজ্ঞগ্দাস এগুলোর জন্য আলাদা সাইড ব্যাগ নিতে পারেন। যেন সবসময় সঙ্গে থাকে।
ভ্রমণের পোশাক
কোথাও ভ্রমণ করার জন্য সঠিক পোশাক নির্বাচন করা খুব জরুরি। কারণ ভ্রমণ হতে হবে আরামদায়ক। গরমের সময় সুতি কাপড়কে প্রাধান্য দেওয়া ভালো। কিন্তু শীতের সময় ভ্রমণের ক্ষেত্রে তাপনিরোধক কাপড়ের তৈরি জামা পরিধান করতে হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে শীতের কাপড়ে যেন ব্যাগ ভারী না হয়ে যায়। ঠান্ডার হাত থেকে রেহাই পেতে হলে সোয়েটার কিংবা জ্যাকেটের সঙ্গে রাখুন উলের মাফলার, কানটুপি, হাত ও পা মোজা এবং মাস্ক। এ ছাড়া আপনি সঙ্গে একটি শীতের চাদর রাখতে পারেন। বাস কিংবা ট্রেনে ভ্রমণের সময় যাত্রীদের জন্য কম্বল দেওয়া হয়। করোনাকালে বাড়তি সতর্কতার জন্য আপনি কম্বল ব্যবহার না করে, নিজস্ব চাদর ব্যবহার করলে ভালো। ভ্রমণে জামার রং একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। উজ্জ্বল রঙের পোশাকে ছবি সুন্দর হয়। উজ্জ্বল রঙে মনও ফুরফুরে থাকে।
ভ্রমণের হিসাব
ট্রাভেল লিস্টে সবার আগে টাকার হিসাবটা করে ফেলা ভালো। কত টাকা খরচ করবেন সে অনুসারে বাজেট পরিকল্পনা করতে হবে। যেখানে যাচ্ছেন, সেখানে এটিএম কার্ডের ব্যবহার আছে কিনা কিংবা বুথ পাওয়া যাবে কিনা সে ব্যাপারে আগেই জেনে নিন। ক্যাশ টাকা কিছুটা সঙ্গে রাখুন। এ ছাড়া বিকাশ কিংবা মোবাইলে লেনদেন করা যায় এমন কোনো অ্যাকাউন্ট থাকলে ভ্রমণে কাজে আসবে। অবশ্যই ভাংতি টাকার ব্যবস্থা রাখুন। আর মোবাইলেও পর্যাপ্ত পরিমাণে ব্যালান্স ভরে রাখুন।
ব্যাগে রাখুন
বেড়াতে যাওয়ার উত্তেজনায় আমরা অনেক সময় গুরুত্বপূর্ণ জিনিস বাড়িতেই ফেলে যাই। তাই কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস ব্যাগে থাকলে ভ্রমণটা আরও সুন্দর ও সহজ হবে। সানগ্লাস, টুপি, আন্ডারগার্মেন্ট, তোয়ালে, সানস্ট্ক্রিন, রেজর, ছোট আয়না, স্কার্ফ, চিরুনি, টুথপেস্ট, ব্রাশ, লাইট, ছোট ছাতা- এই অনুষঙ্গগুলো ব্যাগে নিতে ভুলবেন না। বেড়াতে গিয়ে স্মৃতি ধরে রাখতে চান সবাই। তাই ক্যামেরা সঙ্গে রাখেন অনেকেই। সে ক্ষেত্রে চার্জার, মেমোরি কার্ড, ব্যাটারি ব্যাগে ঢুকাতে ভুলবেন না। আর মোবাইল চার্জারের পাশাপাশি একটি পাওয়ার ব্যাংকও সঙ্গে রাখুন। সাবান কিংবা শ্যাম্পু ছোট ছোট এয়ারটাইট বোতলে নিন। চাইলে মিনিপ্যাক শ্যাম্পুও নিতে পারেন। মুখ ধোয়ার জন্য ছোট ফেসওয়াশ সঙ্গে রাখুন। রুমাল ও ওয়েট টিস্যু খুবই কাজে লাগে ভ্রমণের সময়। সেই সঙ্গে ব্যাগে রাখুন কিছু শুকনো খাবার ও পানি।
ফটো আইডি ও পাসপোর্ট
খুব দরকার কিংবা চিকিৎসার প্রয়োজন ছাড়া আপাতত পাসপোর্টের ব্যবহার না হলেও যে কোনো স্থানে ভ্রমণের ক্ষেত্রে ফটো আইডি অবশ্যই সঙ্গে রাখুন। যে কোনো ধরনের ঘটনা কিংবা অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয় এড়িয়ে যেতে অবশ্যই নিজের সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট কিংবা আপনার প্রতিষ্ঠানের কার্ড রাখুন। আর এগুলোর সফট কপিও মেইলে রেখে দিন। প্রয়োজনে ফটোকপি করে রাখুন।
সঙ্গে রাখুন ওষুধ
ভ্রমণে অতি আবশ্যকীয় জিনিসের মধ্যে একটি হলো ওষুধ। তাই ভ্রমণকালে সঙ্গে রাখুন প্রয়োজনীয় ওষুধ আর ফার্স্ট এইড বক্স। এখন শীতকাল। রোগবালাই লেগেই থাকে কমবেশি সবার। শীতকালে ঠান্ডা, জ্বর, কাশিসহ নানা ধরনের অসুখ হতে পারে, তাই ব্যাগে ওষুধ নিতে ভুলবেন না। জ্বর, অ্যাসিডিটি, পেট খারাপ, বমি কিংবা মাথাব্যথার ওষুধ সব সময়ের জন্য দরকারি। এ ছাড়া ফার্স্ট এইড বক্সে রাখুন ব্যান্ড এইড, অ্যান্টিসেপটিক, পরিমাণমতো তুলা ও গজ। হাঁপানি, প্রেশার, ডায়াবেটিস কিংবা অন্য কোনো রোগ থাকলে প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ওষুধ পর্যাপ্ত পরিমাণে নিয়ে নিন।
শিশু যখন ভ্রমণসঙ্গী
ভ্রমণসঙ্গী হিসেবে যদি সঙ্গে থাকে কোনো শিশু, তাহলে অবশ্যই তার বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। তার খাবার থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় সব ভ্রমণ অনুষঙ্গ গুছিয়ে নিতে হবে সবার আগে। কারণ বেড়াতে গিয়ে শিশুর যদি কোনো সমস্যা হয়, তাহলে সেটিই খুবই দুশ্চিন্তার বিষয়। বেড়াতে যাওয়াটাও তখন নিরানন্দের হয়ে যায়। তাই ছোট সদস্যটির জন্য চাই বাড়তি সতর্কতা। শিশুর জন্য বাড়তি শীতপোশাক নিতে ভুলবেন না এ সময়। পর্যাপ্ত খাবার গুছিয়ে রাখুন আগেই। শিশুর জন্য বিশুদ্ধ পানি সঙ্গে রাখুন। কিছু শুকনা খাবারও সঙ্গে রাখতে পারেন।
দরকারি ডিভাইস
বেড়াতে যাবার আগে দেখে নিন আপনার দরকারি ডিভাইসগুলো নেয়া হয়েছে কিনা। আপনার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের চেকলিস্টের সাথে মিলিয়ে নিন। মোবাইল ফোন ছাড়া বর্তমানে জীবন কল্পনা করা যায় না তাই শহর থেকে দূরে গেলেও সবার সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে মোবাইল ফোন নিয়ে নিন। রওনা দেবার আগে পুরো চার্জ দিয়ে নিন। ফোনের চার্জার নিতে ভুলবেন না। আপনার বেড়ানোর সুন্দর স্মৃতিগুলো ধরে রাখার জন্যে চেষ্টা করবেন একটা ভালো ক্যামেরা সঙ্গে নিতে। আর অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যেন ক্যামেরার ব্যাটারির চার্জ ফুল থাকে। নিতে পারেন এক্সট্রা ব্যাটারি।
- রাখতে পারেন টর্চ লাইট ও এক্সট্র ব্যাটারি, যে কোন সময় দরকার হতে পারে আপনার জন্যে।
- আজকাল স্মার্টফোনের সবচেয়ে বড় সমস্যা চার্জ শেষ হয়ে যাওয়া, তাই পাওয়ার ব্যাংক নিয়ে গেলে আপনার অনেক কাজে লাগবে।
- সময় আর সুযোগ পেলেই ডিভাইসগুলো ফুলচার্জ করে নিতে ভুলবেন না।
- যদি পাহাড়, সমুদ্র কিংবা হাওড়ে যান তাহলে রাখতে পারেন বাইনোকুলার।
- সম্ভব হলে একটি থ্রি পিন ফ্লাগ ও কনভার্টার নিয়ে নিতে পারেন।
পরামর্শ
- সমুদ্রসৈকত কিংবা পানি আছে এমন কোনো জায়গায় ভ্রমণের ক্ষেত্রে সঙ্গে রাখুন লাইফ জ্যাকেট। যারা সাঁতার জানেন না তাদের জন্য এটি একটি জীবনরক্ষাকারী অনুষঙ্গ। এ ছাড়া ক্যাম্পিং করতে চাইলে তাঁবু ও স্লিপিং ব্যাগ সঙ্গে রাখুন।
- ষপাহাড়ি এলাকায় বেড়ানোর ক্ষেত্রে গেলে ট্র্যাকিংয়ের জন্য অবশ্যই স্পোর্টস শু, গল্গাভস, ক্যাপ ও আরামদায়ক পোশাক সঙ্গে নিতে ভুলবেন না।
- যেখানে যাবেন সেই গন্তব্যস্থল, সেখানকার আবহাওয়ার আশপাশের এলাকা ও মানুষ সম্পর্কে জেনে নিন। সুসম্পর্ক বজায় রাখুন এবং ঝামেলা এড়িয়ে চলুন।
- ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে যদি আপনি ভ্রমণ করতে চান, সে ক্ষেত্রে গাইডের কাছ থেকে আগেই জেনে নিন ভ্রমণ বিষয়ক যাবতীয় সব তথ্য।
- ভ্রমণের সময় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যেমন- টিকিট, ফটো আইডি, পাসপোর্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্র নিতে ভুলবেন না।
- ভ্রমণসঙ্গী হিসেবে সঙ্গে দু-একটা বই নিলে মন্দ হয় না। তবে অবশ্যই বড় কোনো উপন্যাস কিংবা ভারী বই নয়। ম্যাগাজিন কিংবা ছোট বই হলে বেশি ভালো হয়। ভ্রমণে অনায়াসেই সুন্দর সময় কাটবে।
- সঙ্গে ছোট নোটপ্যাড এবং কলম রাখুন। হঠাৎ কোনো জরুরি তথ্য পেলে নোট করতে সুবিধা হবে।
- অপরিচিতের কিছু দেওয়া খাবার খাবেন না ও নেবেন না।
- এ ছাড়া যদি নিজের নিত্যপ্রয়োজনীয় কিছু থেকে থাকে, তবে আগেই সেটির লিস্ট বানিয়ে ফেলুন। সেই লিস্ট মিলিয়েই ব্যাগ গুছিয়ে বেরিয়ে পড়ুন আপনার গন্তব্যের উদ্দেশে।
বি: দ্র : ঘুরতে গিয়ে দয়া করে পরিবেশ নষ্ট করবেন না,চিপস এর প্যাকেট, পানির বোতল এবং অপচনশীল দ্রব্য নির্ধারিত স্হানে ফেলুন।। এই পৃথিবী, এই দেশ আমার, আপনার সুতরাং নিজের দেশ এবং পৃথিবীকে সুন্দর রাখা এবং রক্ষনাবেক্ষনের দায়িত্বও আমার এবং আপনার।। হ্যাপি_ট্রাভেলিং
ভ্রমণ বিষয়ক তথ্য পেতে জয়েন করুন আমাদের ফেইসবুক গ্রুপ এবং ফলো করুন আমাদের পেইজ
Comment (0)