সিকিম ভ্রমণ-
সিকিম (Sikkim) ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একটি রাজ্য এবং উল্লেখযোগ্য পর্যটন কেন্দ্র। সিকিমের রাজধানী শহর গ্যাংটক। আয়তনে ভারতের দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম প্রদেশ। এর উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে চীনের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল তিব্বত, পূর্বে ভুটান, পশ্চিমে নেপাল এবং দক্ষিণে ভারতের অপর একটি রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ। সিকিম (Sikkim) প্রকৃতি প্রেমিকদের কাছে এক স্বর্গ হলেও সিকিম ভ্রমণের জন্যে চাই আলাদা প্রস্তুতি।
সিকিম ভ্রমণে প্রয়োজনীয় টিপস
যেহেতু সিকিমের বেশিরভাগ পর্যটক এলাকা রেস্ট্রিকটেড অঞ্চলে অবস্থিত, তাই এই এলাকাসমূহ ভ্রমণের জন্য কিছু পারমিটের প্রয়োজন হয়। আপনার ভ্রমণের পরিকল্পনা অনুসারে আপনি পর্যটন বিভাগ, বন বিভাগ এবং সেনা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি নিতে পারেন। ঝামেলাহীন ভ্রমণের জন্য আমি পরামর্শ দিবো যে, আগে থেকেই পারমিশন নিয়ে রাখুন এবং নিচের নির্দেশনাগুলো মেনে চলুন।
১. পাসপোর্ট, ভিসা ও সিকিম ভ্রমণের অনুমতিপত্র ১০-১২ কপি ও পাসপোর্ট সাইজের ছবি সঙ্গে রাখুন।
২. নাথুলা ও নর্থ সিকিম ভ্রমণে সিকিমের পর্যটন ও অসামরিক পরিবহন দফতরের ছাড়পত্র সংগ্রহ করতে হবে।। কোনো রেজিস্টার্ড ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে অনুমতি পত্র সংগ্রহ করতে পারেন।। অনুমতি পত্রের জন্য ফোটো আইডি এবং দুটি পাসপোর্ট সাইজের ছবি লাগবে।।
৩. নাথুলা যাওয়া যায় বুধবার – রবিবার
৪. নর্থ সিকিম ভ্রমণ সূচিতে কাটাও থাকেনা। সময় থাকলে গাড়ির ড্রাইভারকে কিছু এক্সট্রা টাকা দিলে তারা সানন্দে কাটাও নিয়ে যান।
৫. গ্যাংটকের সব সর্বজনীন এলাকায় ধূমপান, আবর্জনা ছড়ানো এবং থুথু ফেলা নিষেধ।।
৬. সিকিমে বিদেশিদের জন্য অবাধ প্রবেশ বিধি-নিষেধ রয়েছে। তাদেরকে একটি সংরক্ষিত অঞ্চলের অনুমতি পত্র নিয়ে যেতে হয়।।
৭. নির্দিষ্ট কিছু এলাকায়, বিশেষ করে সীমান্তবর্তী এলাকায়, বিদেশীদের প্রবেশ করতে দেয়া হয়না যেমন নাথুলা পাস,জিরো পয়েন্ট এসব স্থানে বিদেশীদের প্রবেশ নিষেধ।
৮. মঠ বা মন্দির পরিদর্শন করার সময় সিকিমের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে সম্মান করুন।
৯. আবহাওয়া সারা বছর ধরে শীতল থাকে তাই, সবসময় সাথে শীতের কাপড় রাখতে ভুলবেন না।
১০. এডভেঞ্চারাস ভ্রমণের জন্য, সর্বদা একটি লাইসেন্সযুক্ত ট্যুর অপারেটর সাথে রাখুন যে আপনাকে সমস্ত প্রয়োজনীয় সুরক্ষা সরঞ্জাম সরবরাহ করবে।
১১. পার্ক, বন্যপ্রাণী, অভয়ারণ্য এবং জাতীয় উদ্যান পরিদর্শন করার সময় পরিচ্ছন্নতা নীতিমালা মেনে চলুন।
১২. পাহাড়ে বাইক অথবা কার চালানোর মতো কাজ সব সময় একটি গ্রুপের সাথে করুন, কখনো একা একা করতে যাবেন না।
১৩. ট্রাভেল ট্যাক্স ঢাকা থেকে জমা দিয়ে দিন এতে সময় বাঁচবে।
১৪. ট্র্যাকিং করতে চাইলে ভালো গ্রিপের জুতা বা কেডস্ নিন।
১৫. গ্যাংটকে রোপওয়ে চালু থাকে সকাল ৯.৩০- বিকল ৪.৩০ পর্যন্ত।।
সিকিম ভ্রমণের উপযুক্ত সময়ঃ
উত্তর সিকিম যাওয়ার সময় হলে সেপ্টেম্বর শেষ থেকে নভেম্বর এবং ফেব্রুয়ারি শেষ থেকে মে পরযন্ত।। এর আগে পরে গেলে বরফে রাস্তা বন্ধ থাকার সম্ভবনা থাকে। দক্ষিন ও পশ্চিম সিকিম সারা বছর যাওয়া যায়, তবে বর্ষায় কোনো কোনো জায়গায় যেতে সমস্যা হতে পারে। পূর্ব সিকিমে জুলুক ও নাথাং ভ্যালি এবং সাঙ্গু লেকসহ বাব মন্দির /নাথুলা যেতে হলে সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর এবং ফেব্রুয়ারি শেষ থেকে মে এর মধ্যে যাওয়াই ভালো।। গ্যাংটকে যে কোনো সময়ই যাওয়া যায়।।
বি: দ্র : ঘুরতে গিয়ে দয়া করে পরিবেশ নষ্ট করবেন না,চিপস এর প্যাকেট, পানির বোতল এবং অপচনশীল দ্রব্য নির্ধারিত স্হানে ফেলুন।। এই পৃথিবী, আমার, আপনার সুতরাং নিজের দেশ এবং পৃথিবীকে সুন্দর রাখা এবং রক্ষনাবেক্ষনের দায়িত্বও আমার এবং আপনার হ্যাপি_ট্রাভেলিং
ভ্রমণ বিষয়ক তথ্য পেতে জয়েন করুন আমাদের ফেইসবুক গ্রুপ এবং ফলো করুন আমাদের পেইজ
Comment (0)