যোধপুর ভ্রমণ-

যোধপুর (Jodhpur) জয়পুরের মত যোধপুর হচ্ছে রাজস্থানের আরেকটি ঐতিহ্যবাহী শহর। রাজধানীতে নীল রঙের বাড়ির জন্য “ব্লু সিটি” নামে পরিচিত যোধপুর। দুর্গ, প্রাসাদ, মন্দির, হাভেলি ও নানা ঢঙের নীল বাড়ি নিয়ে রাজস্থানের দ্বিতীয় বৃহত্তম যোধপুর ‘ব্লু সিটি’ নামে পরিচিত। যোধপুর খুবই প্রাচীন জনপদ। জয়পুর থেকে যোধপুর এর দূরত্ব প্রায় ৩৩৩ কিলোমিটার। ১৪৫৯-এ রাঠোর রাজ যোধা রাও কর্তৃক মাণ্ডোর থেকে যোধপুরে রাজ্যপাট নিয়ে আসার গত ৪৫০ বছর ধরে ঘটেছে নানা নানা ঘটনা। ৪০০ ফুট উঁচু গোদাগিরি পাহাড়ের মাথায় দুর্ভেদ্য মেহেরনগড় ফোর্ট একাই সম্ভ্রম আদায়ের পক্ষে যথেষ্ট। মেহেরগঞ্জ দুর্গ দখল করে শহরের দেয়ালের পুরানো অংশটি সভাপতিত্ব করেন, যা যোধপুরের  নীল ভবনগুলির মধ্যে সর্বোত্তম দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করে। এটি ভারতের বৃহত্তম এবং সবচেয়ে ভালভাবে পরিচালিত কাঁটাকারীগুলির একটি। ভিতরে, অলঙ্কৃত প্রাসাদ এবং একটি যাদুঘর আছে।

যোধপুর এর দর্শনীয় স্থান

রাজস্থানে মরু অঞ্চলে প্রবেশদ্বার যোধপুর। গোলক ধাঁধাতুল্য সংকীর্ণ গলিপথ, পথপার্শ্বে ভাস্কর্যমণ্ডিত বাড়িঘর, হাভেলি আর কারুকার্যময় মন্দিররাজি নিয়েই যোধপুরের আকর্ষণ। প্রধান আকর্ষণ অবশ্যই ৫ কিমি দীর্ঘ মেহেরানগড় দুর্গ। দুর্গের চারটি প্রবেশ পথ রয়েছে-জয়পোল, ফতেপোল, লোহাপোল। পাহাড় ঘুরে রাস্তা গিয়েছে দুর্গের মধ্যে। দুর্গের মধ্যে দেখে নিন মোতিমহল, শিশমহল, ফুলমহলা, শিলেখানা, দৌলতখানা প্রভৃতি প্রাসাদগুলি। ভিতরে রয়েছে রাজপরিবারের সংগ্রহশালা। সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত দুর্গ খোলা থাকে। দুর্গের পাদদেশে সরোবরের ধারে মহারাজা যশোবন্ত সিং এর স্মারক সৌধ যশোবন্ত থাডা। এটিও সকাল ৯ টা থকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত খোলা থাকে। যোধপুরের আর এক আকর্ষণ শহরান্তে চাত্তার হিলে ইতালীয় শৈলীতে তৈরি গোলাপী মর্মরের উমেদভবন প্যালেস। প্রাসাদে এখনও রাজপরিবারের বাস রয়েছে। আর একাংশে রয়েছে প্যালেস মিউজিয়াম।

মেহেরনগড় ফোর্ট

এই দুর্গ প্রসঙ্গে কিপলিং বলেছিলেন, ‘অমিত শক্তিমান কোনও পুরুষ এই দুর্গের নির্মাতা আর সকালের সূর্য একে রঙিন করে’। দেশের সেরা এই দুর্গে প্রবেশ করতে ৭টি গেট পার হতে হয়। ১৪০০  শতকের মাঝামাঝি রাও যোধা এই দূর্গটি নির্মাণ করেন। এই দূর্গ থেকে আপনি গোটা যোধপুর দেখতে পাবেন। রাজপুর ঘরানার নকশা করা আকর্ষণীয় আঙ্গিনা, কাঁচের জানলা বিভিন্ন মহল আপনাকে এক লহমায় নিয়ে যাবে সেই রাজপুর যুগে। আভিজাত্য আর শৌর্যের অসাধারণ মেলবন্ধন খুঁজে পেতে মেহেরানগড় আপনাকে যেতে হবেই। ভেতরে রয়েছে একটি মিউজিয়ামও। যেখানে আপনি রাজকীয় পালকি, অস্ত্র ও পোশাকের সম্ভার দেখতে পাবেন। রোমান্টিক ডিনারের জন্য যেতে পারেন দূর্গের মধ্যেকার চকেলাও মহল নামের একটি অত্যাধুনিক রেস্তোরাঁতেও।

লোহা পোলের দেওয়ালে আছে মান সিংহের চিতায় আত্মাহুতি দেওয়া ১৫ সতীর হাতের ছাপ। দুর্গের সংগ্রহশালা শাহজাহানের হাওদা, রুপোর পালকি, বিশালাকার তালা, ছুড়ি, তরবারি, পিস্তল, শিরস্ত্রাণ ও নানা অস্ত্রে সজ্জিত। জাফরির অনুপম সম্ভার, মোতি মহল, ফুল মহল বা শিষ মহলের চিত্রমালার মনোহারিত্ব ও রাজকীয় বৈভব মন ভরায়। অস্ত্রভাণ্ডারে অস্ত্রের অসামান্য সংগ্রহ ছাড়াও লাইব্রেরিতে আছে ৮ হাজারেরও বেশি বই ও পুঁথির সম্ভার।

যশোবন্ত থাডা

কেল্লার নিচে দ্বিতীয় ১৮৯৯ সালে তৈরি যশোবন্ত রাজের শ্বেতপাথরের স্মারকসৌধ। এটি আসলে রাজাদের সমাধিক্ষেত্র।

উমেইদ ভবন প্যালেস         

ডেস্টিনেশন ওয়েডিং এর ভারতের অন্যতম সেরা ঠিকানা হল এই উমেইদ ভবন প্যালেস। তাজ হোটেল রয়েছে এই দায়িত্বে। মহারাজা উমেদ সিং-এর নামে পরিচিত এই রাজকীয় প্রাসাদের একটি অংশ জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত, যা প্রকৃতপক্ষে একটি বিশাল জাদুঘর। মহারাজ উমেইদ সিংহ খরাগ্রস্ত প্রজাদের রোজগারের সুবিধা করতে ১৯২৯ সালে এই প্রাসাদ তৈরি করান। ৩ হাজার প্রজার ১৩ বছরের চেষ্টায় গড়ে ওঠে ৬৪০ ফুট লম্বা ও ৩৪০ ফুট চওড়া ৩৪৭ ঘরের এই প্রাসাদ। একাংশে বিলাসবহুল হোটেল। অন্য অংশে সংগ্রহশালা।

জাসওয়ান্ত থাডা
মেহেরানগড় দুর্গর কাছেই রয়েছে জাসওয়ান্ত থাডা। মহারাজা দ্বিতীয় জসওয়ান্ত সিংহের নামেই এই স্মৃতিসৌধ নির্মিত হয়েছিল। বাগান এবং একটি হ্রদের সৌন্দর্য আপনাকে বিভোর করবেই। মার্বেলের তৈরি কেল্লা, উজ্জ্বল রংয়ের অভিজাত দরজা আপনার ফটোশুটের অসাধারণ জায়গা হতেই পারে।

রাজস্থানী থালি, কচুরি এবং মিষ্টি
যোধপুর বহু মানুষেরই পছন্দের ফুড ডেস্টিনেশন। জিপসিতে 29 টি পদ দিয়ে রাজকীয় রাজস্থানী থালি একবার খেয়ে আপনাকে দেখতেই হবে।জনতা স্যুট হোমের পেঁয়াজ কচুরি, আর জিলিপি, শানদার স্যুইট হোমের গুলাব জামুন কি সবজি, বা হানওয়ান্ত মহলের লাল মাস আর বাটের স্বাদ না নিয়ে যোধপুর ছেড়ে আপনি যেতেই পারবেন না।

অন্যান্য

যোধপুর সরকারি সংগ্রহশালা, মান্ডোর রোডের মহামন্দির টেম্পল, মন্ডলেশ্বর মহাদেব, সর্দার সমন্দ লেক ও প্যালেস ইত্যাদিও দেখতে পারেন। বাস, অটোরিক্সা বা ভাড়া গাড়িতে বালসমন্দ হৃদ দেখে মান্ডোর গার্ডেন দেখে নিন। ১১৫৯ সালে কৃত্রিমভাবে নির্মিত এই হৃদের ধারে রাজারা গ্রীষ্মকাল কাটাতেন। লেকের পাড়ে বালসমন্দ লেক প্যালেস। কাছে সন্তোষীমার মন্দির। মারওয়ারের প্রাচীন রাজধানী মান্ডোর। এখানকার মন্দিরধর্মী ছত্রিগুলি অন্যরকম বৈশিষ্ট্যের। প্রতিহার রাজাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া মান্ডোরে রাঠোর রাজারা ৬-১৪ শতক রাজত্ব করেন।

কেনাকাটা

শহরের মাঝে ক্লক টাওয়ার। তাকে ঘিরে অসংখ্য দোকান। নাগরাই জুতো, বালাপোশ ও প্রিন্টের কাপড় কিনতে পারেন। যোধপুরের বিখ্যাত লস্যির স্বাদও নিতে পারেন। রূপোর গয়না আর জাঙ্ক জুয়েলারির জন্য যোধপুর বিখ্যাত। কম্বল এবং কার্পেট, রাজস্থানী জুতো, হ্যান্ডলুম কাপড় ইত্যাদি সংগ্রহ করার জন্য যোধপুরের বাজার ঘুরে দেখতে হবে আপনাকে। এখানকার কয়েকটা বিখ্যাত বাজার হল সারাফা বাজার, ত্রিপোলিয়া বাজার, ক্লক টাওয়ার মার্কেট, নয়া সড়ক ইত্যাদি।   

কিভাবে যাবেন

জয়সলমের থেকে বাস ও ট্রেনে যোধপুর যাওয়া যায়। ১৫০১৩ রানীখেত এক্সপ্রেস রাত ১২.৪৫ মিনিটে জয়শলমের ছেড়ে সকাল ৬.২০ মিনিটে যোধপুর পৌঁছায়। এ ছাড়াও ১৪৮০৯ যোধপুর এক্সপ্রেস (সকাল ৬.৪৫-বেলা ১টা) ধরা যেতে পারে।

কোথায় থাকবেন

যোধপুরে প্রচুর বেসরকারী হোটেল আছে। হাইকোর্ট রোডে আছে রাজ্য পর্যটনের হোটেল ঘুমর।

যোধপুর ভ্রমণ-

যোধপুর (Jodhpur) জয়পুরের মত যোধপুর হচ্ছে রাজস্থানের আরেকটি ঐতিহ্যবাহী শহর। রাজধানীতে নীল রঙের বাড়ির জন্য “ব্লু সিটি” নামে পরিচিত যোধপুর, রাজস্থান রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। যোধপুর খুবই প্রাচীন জনপদ। জয়পুর থেকে যোধপুর এর দূরত্ব প্রায় ৩৩৩ কিলোমিটার। দুর্গ, প্রাসাদ, মন্দির, হাভেলি ও নানা ঢঙের নীল বাড়ি নিয়ে রাজস্থানের দ্বিতীয় বৃহত্তম যোধপুর ‘ব্লু সিটি’ নামে পরিচিত। ১৪৫৯-এ রাঠোর রাজ যোধা রাও কর্তৃক মাণ্ডোর থেকে যোধপুরে রাজ্যপাট নিয়ে আসার গত ৪৫০ বছর ধরে ঘটেছে নানা নানা ঘটনা। ৪০০ ফুট উঁচু গোদাগিরি পাহাড়ের মাথায় দুর্ভেদ্য মেহেরনগড় ফোর্ট একাই সম্ভ্রম আদায়ের পক্ষে যথেষ্ট। মেহেরগঞ্জ দুর্গ দখল করে শহরের দেয়ালের পুরানো অংশটি সভাপতিত্ব করেন, যা যোধপুরের  নীল ভবনগুলির মধ্যে সর্বোত্তম দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করে। এটি ভারতের বৃহত্তম এবং সবচেয়ে ভালভাবে পরিচালিত কাঁটাকারীগুলির একটি। ভিতরে, অলঙ্কৃত প্রাসাদ এবং একটি যাদুঘর আছে।

যোধপুর এর দর্শনীয় স্থান

রাজস্থানে মরু অঞ্চলে প্রবেশদ্বার যোধপুর। গোলক ধাঁধাতুল্য সংকীর্ণ গলিপথ, পথপার্শ্বে ভাস্কর্যমণ্ডিত বাড়িঘর, হাভেলি আর কারুকার্যময় মন্দিররাজি নিয়েই যোধপুরের আকর্ষণ। প্রধান আকর্ষণ অবশ্যই ৫ কিমি দীর্ঘ মেহেরানগড় দুর্গ। দুর্গের চারটি প্রবেশ পথ রয়েছে-জয়পোল, ফতেপোল, লোহাপোল। পাহাড় ঘুরে রাস্তা গিয়েছে দুর্গের মধ্যে। দুর্গের মধ্যে দেখে নিন মোতিমহল, শিশমহল, ফুলমহলা, শিলেখানা, দৌলতখানা প্রভৃতি প্রাসাদগুলি। ভিতরে রয়েছে রাজপরিবারের সংগ্রহশালা। সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত দুর্গ খোলা থাকে। দুর্গের পাদদেশে সরোবরের ধারে মহারাজা যশোবন্ত সিং এর স্মারক সৌধ যশোবন্ত থাডা। এটিও সকাল ৯ টা থকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত খোলা থাকে। যোধপুরের আর এক আকর্ষণ শহরান্তে চাত্তার হিলে ইতালীয় শৈলীতে তৈরি গোলাপী মর্মরের উমেদভবন প্যালেস। প্রাসাদে এখনও রাজপরিবারের বাস রয়েছে। আর একাংশে রয়েছে প্যালেস মিউজিয়াম।

মেহেরনগড় ফোর্ট

এই দুর্গ প্রসঙ্গে কিপলিং বলেছিলেন, ‘অমিতশক্তিমান কোনও পুরুষ এই দুর্গের নির্মাতা আর সকালের সূর্য একে রঙিন করে’। দেশের সেরা এই দুর্গে প্রবেশ করতে ৭টি গেট পার হতে হয়। ১৪০০  শতকের মাঝামাঝি রাও যোধা এই দূর্গটি নির্মাণ করেন। এই দূর্গ থেকে আপনি গোটা যোধপুর দেখতে পাবেন। রাজপুর ঘরানার নকশা করা আকর্ষণীয় আঙ্গিনা, কাঁচের জানলা বিভিন্ন মহল আপনাকে এক লহমায় নিয়ে যাবে সেই রাজপুর যুগে। আভিজাত্য আর শৌর্যের অসাধারণ মেলবন্ধন খুঁজে পেতে মেহেরানগড় আপনাকে যেতে হবেই। ভেতরে রয়েছে একটি মিউজিয়ামও। যেখানে আপনি রাজকীয় পালকি, অস্ত্র ও পোশাকের সম্ভার দেখতে পাবেন। রোমান্টিক ডিনারের জন্য যেতে পারেন দূর্গের মধ্যেকার চকেলাও মহল নামের একটি অত্যাধুনিক রেস্তোরাঁতেও।

লোহা পোলের দেওয়ালে আছে মান সিংহের চিতায় আত্মাহুতি দেওয়া ১৫ সতীর হাতের ছাপ। দুর্গের সংগ্রহশালা শাহজাহানের হাওদা, রুপোর পালকি, বিশালাকার তালা, ছুড়ি, তরবারি, পিস্তল, শিরস্ত্রাণ ও নানা অস্ত্রে সজ্জিত। জাফরির অনুপম সম্ভার, মোতি মহল, ফুল মহল বা শিষ মহলের চিত্রমালার মনোহারিত্ব ও রাজকীয় বৈভব মন ভরায়। অস্ত্রভাণ্ডারে অস্ত্রের অসামান্য সংগ্রহ ছাড়াও লাইব্রেরিতে আছে ৮ হাজারেরও বেশি বই ও পুঁথির সম্ভার।

যশোবন্ত থাডা

কেল্লার নিচে দ্বিতীয় ১৮৯৯ সালে তৈরি যশোবন্ত রাজের শ্বেতপাথরের স্মারকসৌধ। এটি আসলে রাজাদের সমাধিক্ষেত্র।

উমেইদ ভবন প্যালেস         

ডেস্টিনেশন ওয়েডিং এর ভারতের অন্যতম সেরা ঠিকানা হল এই উমেইদ ভবন প্যালেস। তাজ হোটেল রয়েছে এই দায়িত্বে। মহারাজা উমেদ সিং-এর নামে পরিচিত এই রাজকীয় প্রাসাদের একটি অংশ জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত, যা প্রকৃতপক্ষে একটি বিশাল জাদুঘর। মহারাজ উমেইদ সিংহ খরাগ্রস্ত প্রজাদের রোজগারের সুবিধা করতে ১৯২৯ সালে এই প্রাসাদ তৈরি করান। ৩ হাজার প্রজার ১৩ বছরের চেষ্টায় গড়ে ওঠে ৬৪০ ফুট লম্বা ও ৩৪০ ফুট চওড়া ৩৪৭ ঘরের এই প্রাসাদ। একাংশে বিলাসবহুল হোটেল। অন্য অংশে সংগ্রহশালা।

জাসওয়ান্ত থাডা
মেহেরানগড় দুর্গর কাছেই রয়েছে জাসওয়ান্ত থাডা। মহারাজা দ্বিতীয় জসওয়ান্ত সিংহের নামেই এই স্মৃতিসৌধ নির্মিত হয়েছিল। বাগান এবং একটি হ্রদের সৌন্দর্য আপনাকে বিভোর করবেই। মার্বেলের তৈরি কেল্লা, উজ্জ্বল রংয়ের অভিজাত দরজা আপনার ফটোশুটের অসাধারণ জায়গা হতেই পারে।

রাজস্থানী থালি, কচুরি এবং মিষ্টি
যোধপুর বহু মানুষেরই পছন্দের ফুড ডেস্টিনেশন। জিপসিতে 29 টি পদ দিয়ে রাজকীয় রাজস্থানী থালি একবার খেয়ে আপনাকে দেখতেই হবে।জনতা স্যুট হোমের পেঁয়াজ কচুরি, আর জিলিপি, শানদার স্যুইট হোমের গুলাব জামুন কি সবজি, বা হানওয়ান্ত মহলের লাল মাস আর বাটের স্বাদ না নিয়ে যোধপুর ছেড়ে আপনি যেতেই পারবেন না।

অন্যান্য

যোধপুর সরকারি সংগ্রহশালা, মান্ডোর রোডের মহামন্দির টেম্পল, মন্ডলেশ্বর মহাদেব, সর্দার সমন্দ লেক ও প্যালেস ইত্যাদিও দেখতে পারেন। বাস, অটোরিক্সা বা ভাড়া গাড়িতে বালসমন্দ হৃদ দেখে মান্ডোর গার্ডেন দেখে নিন। ১১৫৯ সালে কৃত্রিমভাবে নির্মিত এই হৃদের ধারে রাজারা গ্রীষ্মকাল কাটাতেন। লেকের পাড়ে বালসমন্দ লেক প্যালেস। কাছে সন্তোষীমার মন্দির। মারওয়ারের প্রাচীন রাজধানী মান্ডোর। এখানকার মন্দিরধর্মী ছত্রিগুলি অন্যরকম বৈশিষ্ট্যের। প্রতিহার রাজাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া মান্ডোরে রাঠোর রাজারা ৬-১৪ শতক রাজত্ব করেন।

কেনাকাটা

শহরের মাঝে ক্লক টাওয়ার। তাকে ঘিরে অসংখ্য দোকান। নাগরাই জুতো, বালাপোশ ও প্রিন্টের কাপড় কিনতে পারেন। যোধপুরের বিখ্যাত লস্যির স্বাদও নিতে পারেন। রূপোর গয়না আর জাঙ্ক জুয়েলারির জন্য যোধপুর বিখ্যাত। কম্বল এবং কার্পেট, রাজস্থানী জুতো, হ্যান্ডলুম কাপড় ইত্যাদি সংগ্রহ করার জন্য যোধপুরের বাজার ঘুরে দেখতে হবে আপনাকে। এখানকার কয়েকটা বিখ্যাত বাজার হল সারাফা বাজার, ত্রিপোলিয়া বাজার, ক্লক টাওয়ার মার্কেট, নয়া সড়ক ইত্যাদি।   

কিভাবে যাবেন

জয়সলমের থেকে বাস ও ট্রেনে যোধপুর যাওয়া যায়। ১৫০১৩ রানীখেত এক্সপ্রেস রাত ১২.৪৫ মিনিটে জয়শলমের ছেড়ে সকাল ৬.২০ মিনিটে যোধপুর পৌঁছায়। এ ছাড়াও ১৪৮০৯ যোধপুর এক্সপ্রেস (সকাল ৬.৪৫-বেলা ১টা) ধরা যেতে পারে।

কোথায় থাকবেন

যোধপুরে প্রচুর বেসরকারী হোটেল আছে। হাইকোর্ট রোডে আছে রাজ্য পর্যটনের হোটেল ঘুমর।

বি: দ্র : ঘুরতে গিয়ে দয়া করে পরিবেশ নষ্ট করবেন না,চিপস এর প্যাকেট, পানির বোতল এবং অপচনশীল দ্রব্য নির্ধারিত স্হানে ফেলুন।। এই পৃথিবী, আমার, আপনার সুতরাং নিজের দেশ এবং পৃথিবীকে সুন্দর রাখা এবং রক্ষনাবেক্ষনের দায়িত্বও আমার এবং আপনার হ্যাপি_ট্রাভেলিং

ভ্রমণ বিষয়ক তথ্য পেতে জয়েন করুন আমাদের ফেইসবুক গ্রুপ এবং ফলো করুন আমাদের পেইজ