মেয়েদের একা ভ্রমন-

ভ্রমন মানেই নতুন কিছু দেখা, ভ্রমন মানেই নতুন কিছু জানা। নিজেকে আনন্দ দেয়ার জন্যই ভ্রমন করা হয়। তবে ভ্রমনের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা অন্যতম প্রধান একটি বিষয়। হোক পুরুষ কিংবা মহিলা উভয়ের নিরাপদে ভ্রমন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারন, একটি দুর্ঘটনা শুধু আপনার ভ্রমনকেই নয় ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে আপনার ব্যাক্তিগত জীবনকেও। আর মেয়েদের একা একা ভ্রমনের ক্ষেত্রে এই নিরাপত্তার বিষয়ে আরও বেশি সতর্ক থাকতে হয়।

একা ভ্রমণ করতে ভালবাসেন এমন লোক এখন নেহাতই কম না। প্রকৃতি অথবা লোকালয়ের সান্নিধ্যে একা একা ভ্রমণের মজাটাও কিন্তু একেবারে অন্যরকম। কিন্তু একলা কোথাও ভ্রমণের জন্যে যাওয়ার সময় কিছু জিনিস মাথায় রাখা উচিত মেয়েদের। সত্যি বলতে গেলে, মানুষরূপী পশুদের সাথে লড়ার ক্ষমতা হয়তো সব নারীরই রয়েছে। কিন্তু এরকম কিছু ব্যাপারের জন্যে নিজের ভ্রমণটা মাটি হলে এর মতন দুঃখের ব্যাপার আর কিছুই হবে না।

যুগ যতটাই বদলাক না কেন পৃথিবীর সবখানে নারীর প্রতি বৈষম্য বেশ জায়গা জুড়ে এখনো অব্দি টিকে রয়েছে। কেবল বৈষম্যই নয়, রয়েছে ভয়, নির্যাতন, অপমান, লাঞ্ছনার মতন অসংখ্য অন্ধকারাচ্ছন্ন আর ভয়াল দিক। কিন্তু তাই বলে কি নারীরা নিজেদের মত করে ভ্রমন করতে পারবে না? অবশ্যই পারবে।

সর্বোপরি সবার ক্ষেত্রেই এই টিপসগুলি কাজে লাগবে। মেয়েদের একা একা বা দলগতভাবে ভ্রমণের সুবিধায় প্রয়োজনীয় কিছু তথ্য, উপদেশ বা টিপস যাই বলেন তা সহজভাবে তুলে ধরাই এ লেখার উদ্দেশ্য। আর তাই জেনে নিন একা ভ্রমণে যাওয়ার সময় ঠিক যে ব্যাপারগুলো মনে রাখতে হবে। নিরাপত্তা, খরচ কমানো এবং সময় বাঁচানো এমন জিনিস মাথায় রেখে আমরা যেভাবে ভ্রমণকে উপভোগ করতে পারি।

ভ্রমনের স্থান সম্পর্কে জানা

আপনি কোথায় যাচ্ছেন? সেখানে কেন যাবেন? সেই স্থানের বিশেষত্ব কি? কখন আপনি সেই বিশেষ জিনিসটি দেখতে পারবেন? সেখানে কোথায় থাকবেন? কিভাবে থাকবেন? খরচ কেমন হবে? ঠিক এমন সব প্রশ্নের উত্তর আগেই খুজে রাখুন। এটা আপনাকে স্থান সম্পর্কে জানতে সাহায্য করবে। আগে থেকেই জায়গা সম্পর্কে জানা থাকলে আপনি সমস্যায় কম পরবেন। আর এইসব কিছু আপনি কোন অভিজ্ঞ কারো কাছে বা ইন্টারনেটে (Internet) পেয়ে যাবেন।

আত্মবিশ্বাসী থাকুন

আত্মবিশ্বাস যে কোন সমস্যা থেকে মুক্তির প্রথম শর্ত। আত্মবিশ্বাসী থাকুন। আপনার সিদ্ধান্তকে অনুসরণ করুন। আপনি যেটা চিন্তা করবেন সেটাই আত্মবিশ্বাসের সাথে করলে ভাল কিছু পাবেন। কখনই অন্যের দ্বারা প্রভাবিত হবেন না।

ভ্রমনের জন্য গাড়ি আর রাস্তা সম্পর্কে জেনে নেওয়া

যে জায়গায় ভ্রমনে যাবেন, চেষ্টা করবেন আগে থেকেই সেখানকার গাড়ি, গারির ভাড়া সম্পর্কে জানতে। অনেক সময় গাড়ি চালক বেশি ভাড়া দাবি করতে পারে। তবে আসল ভাড়া জানা থাকলে কোন অসুবিধা হবে না। আর গাড়ির সময়সূচী জানা থাকলে সময় সংরক্ষন করা যায় আর চলা ফেরা করতেও সহজ হয়।

 ভ্রমনের সম্পূর্ণ পরিকল্পনা আগেই করে নেওয়া

ভ্রমনের সময় আপনি কখন কিভাবে কোথায় থাকবেন তার একটা ছক আগেই তৈরি করতে পারেন। প্রয়োজনে তালিকা করতে পারেন। এতে ভ্রমন পথে আপনি একাধিক স্থান দেখতে চাইলেও কোনটি বাদ পরবে না। সাথে সাথে আপনার সিদ্ধান্ত গ্রহনেও সুবিধা হবে। সময়ও বাঁচবে।

সংস্কৃতিকে শ্রদ্ধা করুন

প্রতিটি দেশেরই আলাদা সংস্কৃতি রয়েছে। রয়েছে আলাদা সব বৈশিষ্ট্য। কেন যাচ্ছেন আপনি ঐ দেশে? নিশ্চয় নতুন সংস্কৃতিকে কাছ থেকে দেখবার জন্যে। আর তাই নিজের ভ্রমণকে সার্থক করতে এবং সে দেশের সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আগেই জেনে নিন যে কি ধরনের খাবার সেখানে খায় সবাই, কেমন পোশাক পরে, কেমন করে বড়দের সম্মান জানায়, ভাব আদান-প্রদান করে। এতে করে কেবল আপনার ভ্রমণ টাই মজা হবে না, সুরক্ষিত থাকবেন আপনিও। এ নিয়ে বাংলাদেশে পড়তে আসা শ্রীলঙ্কান তরুণী কাঞ্চনা আরাচ্চি বলেন, ‘আমি সবসময়ই বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে শ্রদ্ধা করি এবং যখনই বাইরে যাই এ দেশের পোশাক পড়ার চেষ্টা করি। আর অনুষ্ঠানের দিনগুলোতে শাড়ি তো অবশ্যই পড়ি!’

সতর্ক থাকা

ভ্রমণের সময় নিজের সাথে কেবল সেসব জিনিসই রাখুন যেগুলো আপনার সবচেয়ে দরকারি। খুব বেশি টাকা নেয়া কিংবা অলংকার না পরার চেষ্টা করুন। এমন কিছু না করার চেষ্টা করুন যাতে করে মনে হয় যে আপনি আলাদা কিংবা এখানে নতুন। এমনভাবে ঘোরাফেরা করুন যাতে মনে হয় আপনি এ স্থানে এর আগেও এসেছেন।

আশেপাশের সবকিছুর প্রতি নজর রাখা

আপনার চলার পথে আপনার চোখ ও কান খোলা রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ। চেষ্টা করেন সবসময় আশে পাশের প্রতি নজর রাখা। কে কি বলছে একটু কান খাড়া করে শুনুন। আপনি আপনার আশে পাশের সম্পর্কে ভাল ধারণা পেয়ে যাবেন। বুঝতে পারবেন কোন সমস্যা হবার আগেই। আবার আপনার পরবর্তী ধাপ কি হবে সেটাও ঠিক করতে সাহায্য করবে আপনার সতর্ক থাকা।

ঝামেলায় না জড়ানো

খুব বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছে কেউ এমন মনে হলে নিজে কথা না বলে নিকটস্থ পুলিশের সাহায্য নিন। নিজের তথ্য সবটা কোন আগন্তুককে দেয়াটা কখনোই নিরাপদ কিছু নয়। বিশেষ করে আপনি একলা এসেছেন, কোথায় থাকছেন, আপনার পরিকল্পনা ইত্যাদি বিনিময় করা থেকে বিরত থাকুন। এতে করে পরবর্তীতে কোন রকম উটকো ঝামেলা থেকে দূরে তাকতে পারেন আপনি।

আমি” নয় “আমরা” বলা

কখনো বলবেন না যে, “আমি এটা করেছি, আমি এভাবে যাব।“ বলবেন আমরা করেছি বা আমরা যাব। এতে দুইটি উপকার পাবেন। প্রথমত, আশে পাশের মানুষ বুঝতে পারবে না আপনি একা। তারা আপনার একা হবার সুযোগও নিতে পারবে না। দ্বিতীয়ত, আপনি আপনার মনোবল দৃঢ় করবেন। ভেবেই দেখুন আমি করব এর থেকে আমরা করব একটু হলেও বেশি অনুপ্রেরনা দেয়।

আংটি পড়ুন

ব্যাপারটা খুব হাস্যকর হলেও একটি আংটি আপনার সুরক্ষা ও অনেক ঝামেলা থেকে দূরে থাকার সোজা উপায় হতে পারে। তবে সামান্য একটা আংটি খারাপ মানুষদের জন্যে কোন সমস্যাই নয়। সেক্ষেত্রে কেউ জানতে চাইলে বলুন যে আপনি একা নন। আপনার বন্ধুরা পাশেই আছে। আর কে না জানে, একজন দুর্বল হলেও দশজন নয়! ঢাকা বিশ্ববিদ্যালযের ছাত্রী ইসমাত জাহান লিপি এ নিয়ে বলেন, পদ্ধতিটি কেবল উপকারীই নয়, অনেক বেশি উপকারী। তবে মাঝে মাঝে সবার প্রশ্নের উত্তর দিতে বিরক্ত লাগে।

ব্যস্ত রাস্তা

ভ্রমণের সময় ব্যস্ত রাস্তা দিয়ে চলতে চেষ্টা করুন। এতে করে দুর্ঘটনার পরিমাণ কম হবে। নিজের থাকার জায়গাটিও সুরক্ষিত কিনা ভালো করে যাচাই করে নিন। সবচেয়ে ভালো হয় যদি যেখানে ভ্রমণে গিয়েছেন সেখানকার কারো সাথে একটা ভালো সম্পর্ক থাকে আপনার। তাই কোথাও যাওয়ার আগে সেখানে বন্ধু তৈরির চেষ্টা করুন।

কিছু না নেয়া

কম পরিচিত কারো কাছ থেকে কিছু না নেয়া, বিশেষ করে খাদ্যদ্রব্য না নেয়ার ক্ষেত্রে মনযোগ রাখুন। হয়তো আপনি সোজা মনেই কোন কিছু নিচ্ছেন, কিন্তু পৃথিবীতে বাজে লোকের অভাব নেই। আর তাই অন্যের জিনিস ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।

পিপার স্প্রে সাথে রাখুন

নিজের বাড়তি সুরক্ষার জন্যে মরিচ পানি বা পিপার স্প্রে, ছোট চাকুর মতন জিনিসগুলো সাথে রাখুন। সবচেয়ে ভালো হয় যদি আপনি কারাতে বা এ ধরনের কিছু শিখে থাকেন। দরকারে প্রচণ্ড রকম কাজে আসবে এগুলো আপনার ।

সবসময় সবচেয়ে খারাপ কিছুর জন্য প্রস্তুত থাকুন

“বৃষ্টি পড়বে কি!! এ দুদিন ধরে তো বৃষ্টি হচ্ছে না”-এমন সংশয় নিয়ে রিস্ক নিবেন না। সবকিছু ভাল মতই হবে এটা ভেবে নিবেন না আগেভাগেই।

আপনার পার্স চুরি হয়ে যেতে পারে, পাসপোর্ট হারাতে পারে, অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন এসব ভাবনা মাথায় রেখে অগ্রীম প্ল্যান রাখুন। কিছু টাকা লুকিয়ে রাখুন প্রয়োজনে কোথাও। একদম আস্থা না পেলে কারো হাতে ক্যামেরাটা দিয়ে বলবেন না একটা ছবি তুলে দিতে। খাওয়া-দাওয়ার আগে খাবারের মেন্যু কি, দাম কত তা নি:সংকোচে জিজ্ঞেস করে খান। বাড়তি ফোন ব্যালেন্স রিচার্জ কার্ড আর পাওয়ার ব্যাংক সাথে রাখুন।

বেশি মালপত্র না নেয়া

চেষ্টা করবেন অতিরিক্ত কিছু না নিয়ে, সাথের মালপত্র হালকা রাখার জন্য। এতে যেমন আপনি চলাচল করে আরাম পাবেন। আপনার খরচও কমে যাবে। কোথাও অতিরিক্ত ঝামেলা হবার সম্ভাবনাও নেই। প্রয়োজনে পায়ে হেটেও পথ অতিক্রম করতে পারবেন।

পরিকল্পনা কাছের কাউকে আগে থেকেই বলে রাখা

কাছের এবং শুভাকাঙ্ক্ষী কারো সাথে ভ্রমনের পরিকল্পনা নিয়ে পরামর্শ করা। এতে কোন ভুল থাকলে সে ঠিক করতে পারবে। সাথে সাথে যে কোন সমস্যায় সে আপনাকে দ্রুত সাহায্য করতে পারবে। আমি এখনও আমার ভ্রমনের পরিকল্পনা আমার মায়ের সাথে আলোচনা করি। সে বাসা থেকেই পরামর্শ দিবে। কখনও খাবারের জন্য। কখনও কিছু বিশেষ স্থান বাদ পরলে মনে করানোর জন্য।

টাকা বণ্টন করে রাখা 

টাকা এক জায়গায় না রেখে আলাদা আলাদা জায়গায় রাখা। এতে কোন জিনিস হারিয়ে গেলেও আপনার সব টাকা হারাবে না। একটি অংশই কেবল হারাবে। আপনি বাকি অংশ দিয়ে বিপদ কাটাতে পারবেন। 

নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করুন

কাছের লোকজন বা বন্ধু-বান্ধবকে নিয়মিত আপডেট দিন “কোথায় যাচ্ছেন”, “কি করবেন এরপর?” এসব তথ্য। প্রয়োজনে ফেসবুক চেক-ইন ব্যবহার করুন তবে সব ক্ষেত্রে চেক-ইন না দেয়াটাই ভাল। ফ্লাইট নাম্বার, গাইডের নাম্বার, হোটেলের নাম্বার, ট্যুর প্ল্যান বারবার চেক করুন কত টাকা হাতে আছে, কে মেসেজ করল এগুলোর সাথে। আর শুধু নিজের ফোন থেকেই কাছের লোকের সাথে যোগাযোগ না করে হোটেলের ফোন, নতুন পরিচিত হওয়া লোকটির ফোন থেকেও বাসায় বা কাছের লোকের সাথে যোগাযোগ করুন। এতে ছোটবড় যেকোনো বিপদ থেকেই দ্রুত উদ্ধার হবেন।

সন্ধ্যার পর বাইরে না থাকা

চেষ্টা করবেন সন্ধ্যার পর বেশিক্ষন বাইরে না থাকা। কারন এমন অনেক জায়গা আছে, যেখানে দিনের আর রাতের চেহারা ভিন্ন। আর অধিকাংশ অপরাধ রাতেই হয়। তাই রাতে বাইরে থাকা বিপদজনক। তবে যদি কোথাও সূর্যাস্ত দেখতে চান তবে সন্ধ্যা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারেন। সন্ধ্যায় অপেক্ষার ক্ষেত্রে এটা মাথায় রাখতে হবে যে, রাত্রে ভাড়া তিন থেকে দশ গুণ হতে পারে। আপনি অতিরিক্ত ভাড়া এড়িয়ে চলতে চাইলে নিজস্ব গাড়ি ব্যবহার করতে পারেন। অথবা কোন গাড়ি ভাড়া করে নিজেই চালাতে পারেন।

নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন বস্তু/কৌশল কাছেই রাখা

আপনার নিজের নিরাপত্তার জন্য ছোট চাকু, চুলের স্প্রে (Hair spray) বা মরিচের স্প্রে (Pepper spray) সাথে রাখতে পারেন। তবে এগুলো সাথে রাখাই যথেষ্ট নয়। এইগুলো ব্যবহার কিভাবে করে সেটাও জানা প্রয়োজন।

ভ্রমন বীমা করে রাখা

আমরা সাধারনত জীবন বীমা, শিক্ষা বীমা, স্বাস্থ্য বীমা করে থাকি। তবে আপনি ভ্রমন পিপাসু হলে ভ্রমন বীমা করে রাখতে পারেন। এতে করে ভ্রমনে যদি কোন দুর্ঘটনা ঘটে বা আপনার কোন আর্থিক ক্ষতি হয় তাহলে সেটা পুষিয়ে নেওয়া সহজ হবে। ভ্রমন বীমাকারী প্রতিষ্ঠান অনেক সময় কম খরচে বিভিন্ন ভ্রমনের ব্যবস্থাও করে। আপনি এই সুবিধা নিতে পারেন। 

সীমিত ব্যয় করুন

আপনার কাছে ভ্রমনের জন্য পর্যাপ্ত টাকা থাকলেও চেষ্টা করুন কম কম ব্যয় করার। অনেকে ভ্রমনে গেলে প্রচুর টাকা ব্যয় করে। এমনটি ঠিক না। আগেই সব টাকা ব্যয় করে ফেললে পরে সমস্যায় পরতে হবে। আবার সময় ব্যবহারের ক্ষেত্রেও সতর্ক হতে হবে।কারন শুরুতেই বেশি সময় কাটালে আসল জায়গায় সময় নাও পেতে পারেন। আর অনাকাঙ্ক্ষিত বিপদের জন্য কিছু সময় ও টাকা রেখে দেওয়াই ভাল।

সত্য গোপন করা

খুব দরকার না পরলে কাউকেই আপনার ব্যাক্তিগত তথ্য দেওয়ার দরকার নেই। এ জন্য প্রয়োজনে একটি মিথ্যা পরিচয় তৈরি করতে পারেন আগে থেকেই। অথবা মিথ্যা একটি গল্প আগে থেকেই তৈরি রাখতে পারেন, যাতে কোন সমস্যায় সাহায্য চাইতে পারেন সেই গল্প শুনিয়ে। তবে সব ক্ষেত্রে মিথ্যা বলবেন না। একান্ত প্রয়োজনেই কেবল এই টিপস ব্যবহার করবেন।

গুরুত্বপূর্ণ জিনিস সাবধানে রাখা

মোবাইল, মানিব্যাগ, টাকা, পাসপোর্ট ইত্যাদি সাবধানে রাখবেন। হোটেলের বিশেষ কোন আলমারি ব্যবস্থা থাকলে ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও প্রয়োজনীয় তথ্য ইন্টারনেটে রাখতে পারেন। যাতে সব কিছু হারিয়ে গেলেও, আপনি পুনরুদ্ধার করতে পারেন। তবে মনে রাখবেন যে হারানো জিনিস কখনই আগের মত ভালভাবে ব্যবহার করা যায় না।

বন্ধুত্ব বাড়ান এবং ভ্রমন উপভোগ করুন

নতুন জায়গায় নতুন মানুষের সাথে মিশতে পারার অনুভুতি আসলেই অনেক চমৎকার। সাধারন মানুষের সাথে কথা বলুন। সাহায্য করলে ধন্যবাদ দিন। ভাল কাজের প্রশংসা করুন। নতুন বন্ধু বানান। 

একা একা ভ্রমণ বা সোলো ট্রাভেলিং মনে পরম প্রশান্তি আর আত্নবিশ্বাস এনে দেয়। পজিটিভ চিন্তা ভাবনার চেষ্টা করুন সবসময়। দুনিয়া বহুদূর এগিয়েছে, এগিয়েছে বহু জাতিগোষ্ঠী। তাই অযথা ভয় বা সংশয় নিয়ে পিছিয়ে থাকা উচিত নয়।পৃথিবীর প্রতিটা কোণায় কোণায় ঘুরে বেড়াতে হবে।

বি: দ্র : ঘুরতে গিয়ে দয়া করে পরিবেশ নষ্ট করবেন না,চিপস এর প্যাকেট, পানির বোতল এবং অপচনশীল দ্রব্য নির্ধারিত স্হানে ফেলুন।। এই পৃথিবী, এই দেশ আমার, আপনার সুতরাং নিজের দেশ এবং পৃথিবীকে সুন্দর রাখা এবং রক্ষনাবেক্ষনের দায়িত্বও আমার এবং আপনার।। হ্যাপি_ট্রাভেলিং

ভ্রমণ বিষয়ক তথ্য পেতে জয়েন করুন আমাদের ফেইসবুক গ্রুপ এবং ফলো করুন আমাদের পেইজ